পেকুয়ার রাজাখালী ‘মেম্বার আজু গ্যাং এর হাতে জিম্মি হাজারো মানুষ,নির্বিকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

0

ইয়াছিন আরাফাত কক্সবাজার : মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার আগে এলাকায় স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতেন আজু। মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় একচ্ছত্র আধিফত্য বিস্তার করতে এলাকায় গড়ে তোলা একটি গ্যাং। জানাযায়, আজম উদ্দীন প্রকাশ ‘আজু মেম্বার গ্যাং এর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বাংলো পাড়া গ্রামের সাধারণ মানুষ। এই গ্রুপটি পাঁচ বছরে বেশি সময় ধরে মাদক ব্যবসা ও টাকা জন্য দিন মুজর ও টমটম সিএনজি গাড়ী চালকের কাছ থেকে চাঁদাদাবিসহ নানা অপকর্ম করে নির্যাতন করে বেড়াচ্ছে। এই গ্যাং এর প্রধান আজম উদ্দিন প্রকাশ আরজু মেম্বারের নেতৃত্বে এই দুর্ধর্ষ বাহিনীটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এলাকায়। জানাগেছে, বিভিন্ন মামলার আসামী স্থানীয় রহমত আলীর পুত্র আরজু মেম্বার তার সহোদর জয়নাল ও আবছারের পুত্র ফরিদসহ ১২/১৩ জনের একটি বাহিনী গঠন করে এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে বছরের পর বছর এমনটি জানিয়েছেন ভোক্তভোগিরা । তাঁদের মধ্যে অনেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায়। এতে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কোন তথ্য নাই থানা পুলিশের কাছে। তবে স্থানীয়রা মনে করছেন এদেরকে নির্মূল করতে হলে পুলিশকে কার্যকর এ্যাকশন নিতে হবে। অথবা চলমান দক্ষিণ চট্টগ্রামে জলদস্যুও সন্ত্রাসীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ায় তাঁদেরকে সেরেন্ডারের দাবি উঠেছে সর্বমহলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছু স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলার রাজাখালী ৪নং ওয়ার্ডে মেম্বার আজুর নেতৃত্বে পুরো রাজাখালী ডাকাত প্রবণ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে তার গ্যাংয়ের লোকজন। সাগরে দস্যুতা করে মাঝি মাল্লাদের মারধর করে মাছ লুট করেছে বিভিন্ন সময় তার গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ দলের শীর্ষ নেতৃত্বে রয়েছে তার ভাই জয়নাল ও ফরিদ। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, এ বাহিনীটি দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার, মুক্তিপণ আদায়, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, জমির দখল পাইয়ে দেয়া, মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তাঁদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আনার দাবি সচেতন মহলের। এ বিষয়ে জানতে মেম্বার আজুর মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এতে তার বক্তব্য নেওয়ায় সম্ভাব হয়নি। রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছৈয়দ নূর এবিষয়ে তিনি অবগত নই বলে জানিয়ে তার কোন গ্রুফ নাই বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি মোঃ সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, এবিষয়ে আমার জানা নাই কেউ যদি সন্ত্রাসী কার্যক্রম করলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.