সুন্দরবনের অদূরে দুবলার চরে শুরু হচ্ছে রাশ উৎসব নেয়া হচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা

0

ম.ম.রবি ডাকুয়া, বাগেরহাট প্রতিনিধি : সুন্দরবনের অদূরে দুবলার চরে শুরু হচ্ছে রাশ উৎসব।স্থানীয় অধিবাসীরা সারা বছর এ উৎসবের অপেক্ষায় থাকে।এবারও রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর তিন দিনব্যাপী সুন্দরবনের দুবলার চরে ঐতিহ্যবাহী ‘রাস পূর্ণিমা পুণ্যস্নান’ অনুষ্ঠিত হবে।হিন্দু ধর্মাবলম্বি ছাড়াও এ উৎসব উপলক্ষে স্থানীর সকল ধর্মের লোকেরা এতে অংশ গ্রহন করতে ভীড় জামায়।তাই সবার যাতায়ত সুগম ও সাচ্ছন্দ করতে প্রশাসনিক টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।এবং কোন প্রকার বন্যপ্রাণী হত্যা পরিবেশ দুষন কিংবা কর্তন নিষিদ্ধ গাছ কাঠ আহরন রোধ সহ সকল দস্যুতা রোধ করতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে এবং নিরবিচ্ছিন্ন টহল চলবে তাদের। এ রাশ উৎসবের পুণ্যস্নানে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ পাঁচটি পথ নির্ধারণ করেছে। এসব পথে যাতায়াতকারীদের জানমালের নিরাপত্তায় বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনীর টহলদল নিয়োজিত থাকবে।এদের সাথে সহজেই যোগাযোগ ও সাহায্য নেয়া যাবে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন এর বরাত দিয়ে একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এবং মোট পাঁচটি পথ নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে।হয়েছে এ চরাঞ্চলে যাবার বলে ধারনা দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত পাঁচ পথ হলো- বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলা নদী-বল নদী-পাটকোষ্টা খাল ধরে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলারচর। কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর। নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। ঢাংমারী অথবা চাঁদপাই স্টেশন-তিনকোনা দ্বীপ হয়ে দুবলার চর এবং বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর।
হিন্দু ধর্মিয় পূর্ণিমা পুণ্যস্নানে কেবল ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর তিন দিনের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুমতি দেয়া হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাস্কবিহীন কোনো তীর্থযাত্রীকে পূণ্যস্নানের স্থলে যেতে দেয়া হবে না। অনুষ্ঠান স্থলে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড ওয়াস রাখা হবে।বলে জানানো হয়েছে আগেই।

প্রত্যেক দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের প্রবেশের সময় পথে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে। যাত্রীরা নির্ধারিত পথের একটি মাত্র পথ পছন্দমতো ব্যবহার এবং দিনের বেলা চলাচল করতে পারবেন। বন বিভাগের চেক পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো যাবে না। প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রঙ দিয়ে বিএলসি অথবা সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে। রাস পূর্ণিমায় আগত পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় কিছু আচরন বিধি মেনে চলতে হবে তা না হলে সংশ্লিষ্ট কর্তুপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।এবং যে বিশয় গুলো মেনে চলতে হবে তা হলো।জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে প্রাপ্ত সনদপত্র সাথে রাখতে হবে। পরিবেশ দূষণ করে এমন বস্তু বহন, শব্দযন্ত্র বাজানো, পটকা ও বাজি ফোটানো এবং বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশীয় যেকোন অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র, হরিণ মারার ফাঁদ, কুড়াল ও দড়ি বহন করা থেকে যাত্রীদের বিরত থাকতে হবে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থানকালীন সব সময় টোকেন ও টিকিট নিজের সাথে রাখতে হবে। প্রতিটি লঞ্চ, নৌকা ও ট্রলারকে অনুষ্ঠানের জায়গায় কন্ট্রোল রুমে আবশ্যিকভাবে রিপোর্ট করতে হবে। এবং প্রত্যেক দর্শনার্থীদের মনে রাখতে হবে যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের দিকে সর্বদা নজর রেখ চলছে।কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সংশিলষ্ট আচরন বিধিমালা মেনে চলতে সকলের প্রতি অহবান করা হয়েছে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.