গাংনীর বামুন্দি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম শামীম হুসাইনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

0

মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির গাংনীর বামুন্দি জোনাল অফিসের এজিএম শামীম হুসাইনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে চরগোয়াল গ্রামের কৃষক গোলাম হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী। শনিবার দুপুরে গাংনী প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাগেছে,গত ০৭/০৭/২০১৯ ইং তারিখে চরগোয়ালগ্রামে অগভীর নলকুপ স্থাপন ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য উপজেলা সেচ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৩৭টি স্কীম এর অনুমোদন দেয়া হয়। যার মেয়াদ ছিল ০৬ (ছয়) মাস। উক্ত তারিখের মধ্যে চরগোয়ালগ্রামের কায়েমুদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম উক্ত সংযোগ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় অনুমোদন পত্রের শর্তানুযায়ী

০৬/০১/২০২০ ইং তারিখে তার স্কীমটি বাতিল বলে গন্য হয়। ফলে আমার পিতা গোলাম হোসেন বিএডিসি উচ্চতর উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) এর কার্যালয়ে ২৬/০৮/২০২০ ইং তারিখে নতুন স্কীম নেয়ার আবেদন করেন। যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। প্রস্তুতি চলাকালে হঠাৎ করে প্রায় ২০ দিন পূর্বে স্কীম বাতিল হওয়া শহিদুল ইসলামকে তাড়াহুড়ো করে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আমার পিতা গোলাম হোসেন একটি লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিটির সেচ কমিটির বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) শ্যামল হোসেনকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। শ্যামল হোসেন ২৯/১১/২০২০ ইং তারিখে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া সম্পুর্ণ সম্পুর্ণ অবৈধ বলে উল্লেখ করেছেন। উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সেচ কমিটির সভাপতি

ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ ০১/১২/২০২০ ইং তারিখে শহিদুল ইসলামের বিদ্যুৎ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করার লিখিত নির্দেশ দেন। কিন্ত অদ্যাবধি বিদ্যুৎ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন না করে বামুন্দি পল্লী বিদ্যুৎ এজিএম শামীম হোসাইন বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করে চলেছেন। এ বিষয়ে দফায় দফায় উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বসেও পল্লী বিদ্যুৎ খোড়া যুক্তি দেখিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করছেন না। পল্লী বিদ্যুৎ এজিএম সংযোগটি বিচ্ছিন্ন না করায় অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী। তবে গোলাম হোসেন এর একটি সঠিক তদন্তের দাবী জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে। সেচ কমিটির সিদ্বান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বামুন্দি জোনাল অফিসের এজিএম রয়েছেন বহাল তবিওতে। উপজেলা প্রশাসস ও বিএডিসি’র সিদ্ধান্ত তিনি কেনো উপেক্ষা করছেন এমন প্রশ্ন করা হলে এজিএম শামীম হুসাইস কোনো মন্তব্য করতে চাইনি।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.