গাংনীতে পবিত্র দরবার শরিফ রক্ষার্থে ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে গ্রামবাসীর মানব বন্ধন

0
মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ওলিনগর গ্রামের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর ফকিরের প্রথম পক্ষের স্ত্রী সন্তানের দায়িত্বে রেখে যাওয়া পবিত্র দরবার শরীফ রক্ষা করতে ও দরবারের বিরুদ্ধে নানা অপ্রচারের প্রতিবাদে গ্রামবাসী এবং বিভিন্ন এলাকার সাধু-ফকিরা মানব বন্ধন করেছে। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের ওলিনগর মদন মাস্তানের দরবার শরীফের সামনের সড়কে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। দরবার শরীফ কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাদশার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানের বড় ছেলে সিরাজুল ইসলাম, মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানের ভাই ও দরবার শরীফের সম্পাদক বর্তমান খাদেম জালাল উদ্দীন ফকির ও নিয়ামত আলীসহ ভক্তবৃন্দ।
মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানের প্রথম পক্ষের বড় ছেলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান জীবিত থাকা অবস্থায়। ওলিনগর মৌজার, ১৯১ নং খতিয়ানের ৩০৭ দাগের ৭ শতক জমি সবটুকু আলফাজ উদ্দীন (মদন মাস্তান) দরবার শরীফের নামে ১৯৮৯ সালে রেজিঃ করে দেয়। পরবর্তিতে মরহুম হাফিজুর রহমান মানুসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্বিতীয় স্ত্রী নুরুন্নাহার আক্তার ও তার মেয়ে হাবিবা নওসীন সাধনা চিকিৎসার নাম করে বাড়ী থেকে বিভিন্ন সময়ে বাহিরে নিয়ে যায়। তারই এক ফাকে দরবার শরীফের জমিটি রেজিঃ করে নেয় নুরুন্নাহারের নামে। পরে আবারো একই মৌজার, একই খতিয়ান ভুক্ত ও দাগের জমিটি তার মেয়ের হাবিবা নওসীন সাধনার নামে একটি দলিল মারফত রেজিঃ পূর্বক দবরবার শরীফটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। গোপনে দরবার শরীফের জমি রেজিঃ হওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে । দরবার কমিটির লোকজন আদালতে মামলা করেন, যাহার মামলা নং দেং ৮৫/২০১৮। মামলাটি বর্তমান আদালতে চলমান। দরবার দখলে নিতে গিয়ে আদালতের মামলায় বাধা প্রাপ্ত হয়ে দরবার শরীফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপ্রচার চালাতে থাকে নুরুন্নাহার ও তার মেয়ে সাধনা। এক পর্যায়ে মাদক, সন্ত্রাসসহ নানা মিথ্যা অভিযোগ তুলে চলতি মাসের ৬ তারিখে গাংনী প্রেসক্লাবের সামনে মানব বন্ধন করেন।
বিভিন্ন গ্রামের দলীয় মহিলাদের দিয়ে এ মানব বন্ধনের আয়োজন করে। কিন্তু সেই মানববন্ধনে মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানের গ্রামের কোন মানুষ উপস্থিত ছিলেন না। ফলে ওই মানব বন্ধন থেকে দরবার শরীফের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অপ্রচার করেন। বিষয়টি গ্রামবাসীর নজরে পড়লে গতকাল শনিবার দরবার শরীফটি রক্ষার্থে গ্রামবাসী মানব বন্ধন করেছেন। তিনি আরো দাবি করেন, মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান মানুসিক ও শারীরিক অসুস্থ্য থাকা অবস্থায় প্রথম পক্ষের ৫ ছেলে-মেয়েকে ফাকি দিয়ে সকল জমি দ্বিতীয় স্ত্রী নুরুন্নাহার আক্তার তাহার নিজ নামে রেজিঃ করে নেয়। ঘটনার সঠিক বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্থানে ঘুরলেও নানা অজুহাতে ঘুরিয়ে নিয়ে বেরান নুরুন্নাহার। বিষয়টির সুরাহা চেয়ে প্রশাসনের উচ্চ মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন মুক্তিযোদ্ধার এ পরিবার।
আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.