পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

0

নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে  আজ সোমবার সকাল ১০.৩০ টায় করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার খসরু পারভেজ ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাধীনতা চত্বরে ফুল দিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।

এসময় আরো শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, প্রক্টর অফিস, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসন, পরিবহন পুল, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, গণিত বিভাগ, রসায়ন পরিবার, অর্থনীতি বিভাগ, ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলী শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন বুঝতে পারে তারা পরাজয় বরণ করতে যাচ্ছে, তখন এদেশের বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে হত্যায় মেতে উঠে। বাঙালি জাতি যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য বিজয়ের প্রাক্কালে এদেশীয় রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের সহযোগিতায় ঘৃণ্য এ হত্যাকান্ড চালায়। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার বিষয়ে বলেন, পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশে বিখ্যাত ব্যক্তিদের ভাস্কর্য আছে, সেখানে কোন সমালোচনা হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যারা ভাঙছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিরোধ করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার খসরু পারভেজ বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বাঙালির জীবনে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। পরাজিত শক্তি জাতিকে মেধাশূন্য করতেই দেশের বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ইসলাম ও রাষ্ট্র ক্ষমতাকে এক করে দেখা ঠিক হবে না।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট, পরিবহন প্রশাসক, গেস্টহাউজ প্রশাসক,বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ, প্রক্টর ড. প্রীতম কুমার দাস, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ্। শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.