আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল হককে বিশ্বাসী অবহেলিত মহেশখালীর ধলঘাটাবাসী

0

ইয়াছিন আরাফাত, মহেশখালী প্রতিনিধি : সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ ও গণসংযোগে এখন পুরোদমে নির্বাচনী হাওয়া বইছে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নে। উক্ত ইউপিতে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনয়ন পেতে ৫ জন সম্ভাব্য প্রার্থী এখন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে তৎপরতা ও জনপ্রিয়তা বেশি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশির বীর মুক্তিযুদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হকের। জানাগেছে, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় মহেশখালী থানার ওসি, বন খাদ্য ভূমি অফিস কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার অন্যতম আসামী ও মুক্তিযোদ্ধার সংগঠক এ আওয়ামী লীগ নেতা। এছাড়াও চার দলীয় জোটের আমলে ইউ,পি নির্বাচনে ধলঘাটায় আওয়ামী লীগের একক চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন ‘৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্বের সময় পশ্চিম পাকিস্তান সরকার কর্তৃক দায়েরকৃত ৪টি মামলার আসামি সামাজিক সম্প্রীতির বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক। তিনি আগামী মার্চ/২১সালের নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী।

সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া ও তিনি সাবেক নির্বাচিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ধলঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, সাবেক আহবায়ক সভাপতি উপজেলা কৃষকলীগ, সাবেক কৃষি ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক উপজেলা আওয়ামী লীগ, বর্তমান সদস্য মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সদস্য কক্সবাজার জেলা কৃষকলীগ। এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছে উক্ত জনপদ। রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাগানো হয়েছে শুভেচ্ছা বাণী দিয়ে পোস্টার। তবে ক্ষমতাসীনদল আওয়ামীলীগের নৌকার টিকেট পেতে মরিয়া মনোনয়ন প্রত্যাশিরা। অন্যান্য ডামি প্রাথীরা তেমন মাঠে নাই। তবে তৃর্ণমূলে ও ভোটার মাঠে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি বঙ্গবন্ধুপ্রেমী বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক। সরেজমিনে বিভিন্ন ভোটারের সাথে অালাপ কালে জানা যায়,নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে নুরুল হকের জনপ্রিয়তা আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। অপরদিকে সকল প্রকল্পের সুবিধার্থে ধলঘাটার মানুষ আগের তুলনায় খুবই সচেতন ও সজাগ যারা ধলঘাটায় তাদেরকে জনগন ভোট দিতে অনিহা প্রকাশ করেছে। ধলঘাটার মানুষ এখন সকল প্রকল্পের সাথে সাথে নিজেদের অবকাঠামোসহ সকল সমাজিক নিরাপত্তা দিয়ে ধলঘাটা দেশ-বিদেশের সাথে এগিয়ে নিতে পারবে এই রকম সৎ ও ন্যায় পরায়ন ও মুজিব আদর্শের ধলঘাটার বীর সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হককে জীবন বাজী রেখে ও ধলঘাটার স্বার্থে বিজয়ী করতে জনগণ প্রস্তুত রয়েছে।

ধলঘাটা সাপমারার ডেইল জেটি ও প্রধান সড়ক ও টেকসই বেড়িঁবাধ নির্মাণে কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি অতীতের জনপ্রতিনিধিরা। তাই উন্নয়নের লক্ষে সাধারণ জনগণ নুরুল হকের দিকে ঝুঁকছে। অপরদিকে গত নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের জনপ্রিয়তা থাকলে ও দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়নি। এতে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন ও করেন নি তিনি। দলের দেয়া প্রার্থীকে বিজয় করতে অাপ্রাণ চেষ্টা করেন। বিজয় ও করেন দলীয় প্রার্থী কামরুল হাসান কে। কিন্তু এবার ধলঘাটা বাসী নাছোঁড় বন্দা। নুরুল হককে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চায় নারী-পুরুষরা। ভোটাররা জানান, নুরুল হককে দলীয় প্রার্থী ঘোষনা করলে তিনি জয় হবেন এসব মন্তব্য সকলের মুখে মুখে। ভোটাররা মনে করেন। এছাড়া নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি হিসেবে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন, সাবেক (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক, সাবেক চেয়ারম্যান আহছান উল্লাহ বাচ্চু, বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান, যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিন, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বখতিয়ার আলম। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক ভোটার মাঠে সরব থাকায় তিনি নৌকার মনোনয়ন পেলে জয় হবেন মনে করছেন অনেকে। তিনি ও নৌকার মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন এমনটি মনে করছেন তার ঘনিষ্ঠজনরা। অন্যদিকে অত্র ইউনিয়নের সাবেক (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী।

তিনি বিগত ১৯৯৬ সাল থেকে দুই হাজার সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে চার বছর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন ধলঘাটা দূর্গম ইউনিয়নে। ভোটাররা জানান, নুরুল হক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকাকালিন চার বছরে সে সময়ে তিনি যা উন্নয়ন করেছিলেন এর বাইরে এখন ডিজিটাল যুগে সিকি পরিমাণ কিছু হয়নি। জীবনের শেষ বয়সে বঙ্গবন্ধু প্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নৌকার টিকেট পেলে ভোট ব্যাংক সৃষ্টি করে মসনদ নিজের কব্জায় নিয়ে চেয়ারম্যান হতে পারেন এমনটা মনে করছেন ভোটাররা। সর্বোপরি নৌকার টিকেট পেলে ধলঘাটাবাসী নেতৃত্ব হিসাবে বেঁচে নিতে পারেন মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হককে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.