নৌকা প্রতীক চান পাবনার মাসুমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন

0

পাবনা প্রতিনিধি : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত গ্রাম হবে শহর এই কর্মসূচী বাস্তবায়নসহ অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে আবারও নৌকা প্রতীক চান পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার মাসুমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সন্মুখসারির করোনাযোদ্ধা মোঃ মিরোজ হোসেন।

মাসুমদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মিরোজ হোসেন ইতোমধ্যে নিজ কর্মগুনে জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। একই সাথে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে সংবর্ধিত হয়েছেন। জেলার বিভিন্ন পর্যায়ে নানা প্রতিষ্ঠান দিয়েছেন সংবর্ধনা, সন্মাননা ও অকুণ্ঠ ভালোবাসা।
অসহায়, দরিদ্র, অসুস্থ ও অস্বচ্ছল নানা পেশাজীবি মানুষের কাছের আপনজন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধি মিরোজ হোসেন। নির্বাচিত হওয়ার পর নিজ এলাকায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি ও নিজ উদ্যোগে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অকুণ্ঠ চিত্রে।

করোনাকালীন মহামারীতে নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন ত্রাণের বস্তা। কখনো বা পায়ে হেটে, কখনো ভ্যান গাড়ী ঢেলে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অস্বচ্ছল, কর্মহীন, দরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি গেছেন, পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্য সামগ্রী। অসুস্থ মানুষের জন্য চিকিৎসা সেবা, চিকিৎসা ভাতা, ওষুধ কেনার নগদ টাকা এবং স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ খাদ্য সরবরাহও করেছেন।
বন্যা ও শীতের মধ্যেও তার সহায়তার হাত বন্ধ হয়নি। শীতার্ত মানুষের শীত নিবারনের জন্য দিয়েছেন গরম কাপড় ও কম্বল। দিয়েছেন শাল চাঁদর। বন্যা কবলিত মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছেন নিরলশভাবে। খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি মাথা গোজার ঠাইও করেছেন তিনি। ইউনিয়নের ভূক্তভোগী মানুষের জন্য অস্বচ্ছতা ও দূর্নীতি রোধ করে নিজ হাতে বন্টন করেছেন দরিদ্র হতদরিদ্র মানুষের জন্য সরকারি চাল সহায়তা। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা প্রাপ্যতার ভিত্তিতেই দিয়েছেন। জমি আছে ঘর নেই, আবার জমি নেই ঘরও নেই। এমন প্রায় ২ শতাধিক মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তার মাধ্যমে তাদের মাথা গোজার ঠাঁই করে দিয়েছেন চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন।

কমিউনিটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ, দাখিল, আলিম ও কামিল মাদরাসার নিয়মিত খোঁজ খবর রাখেন। ইউনিয়নের সকল মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির, কবরস্থানের উন্নয়নে যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন। একান্ত আলাপকালে মিরোজ হোসেন বলেন, ছোট থেকেই মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমার এলাকার নানা বয়সের মানুষ আমাকে যথেষ্ঠ ভালোবাসেন। অল্প বয়সেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছি। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে যে মানুষগুলো যে স্বপ্ন দেখে আমাকে এই জায়গায় এনেছিলেন, তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে কাজ করছি।

মিরোজ হোসেন বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সকল সীমাবন্ধতাকে কাটিয়ে নানা চড়াই উৎরাই পেড়িয়ে এই ইউনিয়নকে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও মডেল ইউনিয়ন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পুরো ইউনিয়নটাকে ডিজিটালাইজড করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিটা বাড়ি এখন মোবাইল বোতামের মধ্যেই নেয়া সম্ভব হয়েছে। ভূমি জড়িপ, ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজ এখন ডাটাবেজে। কোন বাড়ির কত টাকা ট্যাক্স, কোন অসহায়, দরিদ্র ও অস্বচ্ছল ব্যক্তি কোন কোন সুযোগ সুবিধা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পাবেন, সেগুলো তাৎক্ষণিক মোবাইল ফোনের এসএমএস’র মাধ্যমে জানতে পারছেন। ইউনিয়ন পরিষদে এসে এই ইউনিয়নের কোন মানুষকে কোন কাজেই ধর্ণা ধরতে হয় না। সময়ের কাজ সময়েই সম্পন্ন করার জন্য জোর তাগিদ রয়েছে।
মিরোজ হোসেন বলেন, প্রায় ২৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়েই এই ইউনিয়নের অবস্থান।

২৫৫৯০ জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত। ২৫ টি মৌজার ২৭ টি গ্রামের ২৬ টি পাকা সড়ক আর ২২ টি কাঁচা সড়ক রয়েছে। ১৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টি প্রতিবন্ধি স্কুল, ৩ টি উচ্চ বিদ্যালয় আর ১ টি উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ রয়েছে। ৪৬ টি মসজিদ আর ৪ টি মন্দির আছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যথাসাধ্য পরিচর্চা করা হয় এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এই ইউনিয়ন কৃষিবান্ধব। ২০৪০ হেক্টর জমির মধ্যে মাত্র ২০ হেক্টর জমি অনাবাদী। নানা মওসুমি ফসল এখানে ফলানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান হওয়ার পর সারাদেশের মধ্যে আমিই প্রথম জানুয়ারিতে প্রাথমিক স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নতুন বইয়ের সাথে একটি করে স্কুল ব্যাগ দিয়েছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যেকটি মসজিদে জায়নামাজ ও তসবিদ প্রদান করা হবে। একই সাথে দীর্ঘ মেয়াদী কার্ড বিতরণ করা হবে।

মিরোজ হোসেন বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার কারণে ইউনিয়নের অনেক অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করতে পারিনি। তবুও সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে ঘুরে এলাকার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ নিয়ে এসেছি। প্রতিটি ঘরে আজ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগী পদক্ষেপের কারনে। তিনি বলেন, আমার অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করতে হলে জনগণের ভালোবাসা প্রয়োজন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে আরেকটাবার নৌকা প্রতীক দেন। সেই সাথে আমার ইউনিয়নবাসী তাদের মূল্যবান ভোটে আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন, তাহলে অবশ্যই এই এলাকার উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবো।

মাসুমদিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে বয়সী ও প্রবীন ব্যক্তিদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, মিরোজ বয়সে তরুণ। কিন্তু কর্মে সে যোগ্য। আবারও চেয়ারম্যান হওয়ার মতো অনেক কাজ করেছে। আমরা চাই মিরোজ আবার চেয়ারম্যান হবে। তারা বলেন, আমাদের মতো বয়স্ক মানুষের জন্য সে ক্লাব করে দিয়েছে। আমরা সেখানে বসে সময় কাটাই, গল্প করি, পেপার পড়ি। টিভি দেখি। এলাকার সাধারণ মানুষের দাবী, মিরোজ চেয়ারম্যানের কোন অহংকার নেই। খুব সহজে সরাসরি তার সাথে দেখা করা, কথা বলা, কোন কিছু চাওয়া পাওয়ায় কোন বাধা নেই। তার দরজা সাধারণ মানুষের জন্য সব সময় খোলা থাকে। এমন চেয়ারম্যান পেয়ে আমরা ধন্য। আগামি নির্বাচনেও আমরা তাকেই চাই।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মির সাথে আলাপকালে তাদের দাবী, মিরোজ হোসেন অল্প সময়ের ব্যবধানে দক্ষ সংগঠক হয়ে উঠেছেন। সুন্দর নেতৃত্ব দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করছেন। আমরা চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পেয়ে শুধু গর্বিত নই। আমরা তার মতো তৃণমূলে একজন ভালো নেতা পেয়েছি। আমরাও মনে প্রাণে চাই তিনি আবার এই ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবেন। আমরা বিশ্বাস করি। তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.