পাবনার চরবাসীর জন্য মৃধা ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিকের ভিত্তিপ্রস্তর করেন – আহমেদ ফিরোজ কবির এমপি

0

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার রুপপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর চরে সহস্রাধিক চরবাসীর কল্যানে মৃধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। 

শনিবার দুপুরে ভবানীপুর চরে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মৃধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আমিন উদ্দিন মৃধার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পাবনা-২ আসনের সাংসদ,  জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ফিরোজ কবির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন, বেসরকারি ভাবে আপনারা চরের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে এগিয়ে এসেছেন এ জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে চরবাসীর জন্য যতটুকু সহযোগিতা করা যায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বর্তমান সরকার জনবান্ধন সরকার। সরকার আপনাদের জন্য সব ধরনের সেবার দ্বার খুলে রেখেছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য দেন, বেড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার তোফাজ্জল, কৃষি অফিসার মশকর আলী, বেড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাহ মোল্লা,  পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী বিল্লাল হোসেন,  উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল সাহা, আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম তরুন, রুপপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বকুল, আওয়ামীলীগ নেতা আবু সামাসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথি কোদালে মাটি কেটে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
মৃধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আমিন উদ্দিন মৃধা বলেন, চরবাসীর দুঃখ দুর্দশার কথা শুনেছি। নিজে এসে দেখে আমার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, চরবাসীরা বিনা চাষে মাসকলাই ও পেয়াজের চাষ করেন। আমি গবেষনা করে দেখেছি। চরের এই সকল মানুষকে সঠিক ভাবে প্রশিক্ষণ দিতে পারলে অবশ্যই এই মাসকলাই ও পেয়াজ চাষাবাদে দেশের চাহিদা পুরন করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত চরবাসীরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত রয়েছি। শিশুদের পড়ালেখার জন্য নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।  নেই স্বাস্থ্যসেবা বা চিকিৎসার জন্য কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিক। মৃধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের এই মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। পাশাপাশি বর্ষা ও শুষ্ক মওসুমে এই চরে যাতায়াতের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতা চান চরবাসী।
আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.