পাবনা জেনারেল হাসপাতালে টিকাকান্ড অভিযোগের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা জেনারেল হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে এমবিবিএস শেষবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে টিকা ছাড়াই সিরিঞ্জ পুশের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়নি। সোমবার বিকেল ৫ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী।
জানা যায়, গত ৪ আগস্ট ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ও দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পগ্রুপ স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নানের মেয়ে সাবাহ মারিয়ম অন্তিকাকে টিকা ছাড়াই সিরিঞ্জ পুশের ঘটনার অভিযোগ উঠে। আর ঘটনাটি মেয়ের কাছ থেকে জ্ঞাত হওয়ার পর অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীর বাবা।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলার সিভিল সার্জন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একই সাথে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরপরই টিকা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা হাসপাতালের সিনিয়র নার্স মেরিনা গোমেজ ও মিতা খাতুনকে প্রত্যাহার করা হয়।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কেএম আবু জাফর জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই নার্স দুইজনকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। একই সাথে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির অন্য দুইজন হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকের অফিসার (আরএমও) ডা. জাহিদুর রহমান এবং জেলা পাবিলক হেলথ নার্স শাহানারা বেগম।
সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, ৩ কার্য দিবসের তদন্ত কমিটি অধিকতর তদন্তের স্বার্থে সময় বাড়িয়ে মোট ১০ কার্য দিবস শেষে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত, উপস্থিতি ও স্বাক্ষীদের বয়ানে সন্ধেহাতিত ভাবে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। তিনি বলেন, যেহেতু অভিযোগ উঠেছিল সেহেতু পরবর্তীতে আরও সতর্কতার সাথে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান বলেন, অনিয়ম হয়েছিল বলেই অভিযোগ এসেছিল। বিচার চাইনি। তবে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে। আমার অভিযোগ যদি তাদের কাছে ভিত্তিহীন মনে হয় তাহলে আমার কোন বক্তব্য নেই। তবে আমার সাকসেস তারা অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করেছেন।