কুড়িগ্রামে স্মার্ট ফোন না পেয়ে কিশোরের আত্মহত্যা

0

আল এনায়েত করিম রনি,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : বাবা-মায়ের কাছে একটি স্মার্ট ফোনের আবদার করেছিল কিশোর রানা মিয়া (১৫)। পরের সপ্তাহে সেটি কিনে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বাবা-মা। কিন্তু এখনই তার সেটি চাইই-চাই! তা না পেয়ে জেদ ও অভিমানে নিজ ঘরের ধরণায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে কিশোরটি। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২জুন) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামে। নিহত কিশোর ওই গ্রামের দিনমজুর নাসির উদ্দিনের পূত্র এবং ফুলবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ফুলবাড়ী থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য ও এলাকার বাসিন্দ আহমদ আলী রতন পোদ্দার জানান, নিহত কিশোরের পিতা নাসির উদ্দিন একজন ভূমিহীন দিনমজুর। তিনি শশুরের ভিটায় থাকেন। তাদের পক্ষে স্মার্ট ফোন কিনে দেয়ার সামর্থ ছিল না। কিন্তু ছেলেটি ছিল নাছোড়বান্দা। ফলে তার মা রমিছা বেগম পরের বুধবার কিস্তির টাকা দিয়ে ফোন কিনে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্ত ছেলেটি তখনই কিনে দেয়ার জন্য জেদ ধরেছিল। এনিয়ে বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে মাগরিবের নামাজের পর সে দরজা বন্ধ করে নিজ ঘরে অবস্থান নেয় সে। রাতে খাবারের জন্য তাকে ডাকাডাকি করে ভিতর থেকে কোন উত্তর না পেয়ে আশংকিত হয়ে পরেন বাবা-মা। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় রাত ৯টার দিকে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতর রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় রানা মিয়াকে পাওয়া যায়। সম্ভবত: ফোন না পেয়ে বাবা-মায়ের উপর রাগ করে আবেগে ও অভিমানে ধরণায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে।

বিষয়টি নিয়ে ফুলবাড়ী সদর থানার ইউপি চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশীদ জানান, দিনমজুর নাসির উদ্দিনের দুই পূত্রের মধ্যে রানা মিয়া ছিল ছোট সন্তান। রাত দুইটার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমার রায় জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে সুরৎহাল করা হয়। পরে তার লাশ ফুলবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ফুলবাড়ী থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.