বড়লোক রুদ্রিকের জন্য কীভাবে মাসুল দিতে হল তিথিকে দেখাবে বরণ

0

বিডি২৪ভিউজ বিনোদন ডেস্ক : শান্তশিষ্ট লক্ষ্মীশ্রী যুক্ত হলেই যে পর্দার নায়িকারা সবসময় নির্বিবাদে সমস্ত অন্যায় সহ্য করে মুখ বুজে মিষ্টি মেয়ে হয়ে থাকবে সে সংজ্ঞা অনেক আগেই ভেঙেছে বাংলা টেলি সিরিয়াল। এমনকি পর্দার নায়িকা মানেই যে খুব শান্তশিষ্ট হবে এই ধারণা ভেঙে গেছে। তাই, এবার যখন একজন প্রতিবাদী, আত্মসম্মানী, কর্মোদ্যম উদ্দীপ্ত, নিজের দায়িত্বে প্রতি নিষ্ঠাবান একজন মহিলা চরিত্র পর্দায় এল তখন প্রথম থেকেই তাকে নিয়ে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। স্টার জলসার নয়া নিবেদন ‘বরণ’কে সাড়ম্বরে নিজের ড্রইংরুমের টিভি স্ক্রিনে বরণ করে নিলেন বাঙালি দর্শকরা।

গল্পের নায়িকা তিথি মুখার্জি মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া আত্মসম্মানে ভরপুর, সত্য সন্ধানী, অদম্য মনের জোর থাকা, প্রতিবাদী, কর্মঠ একজন মেয়ে। যাঁর জীবনের প্রাইমারি লক্ষ্য সরকারি চাকরি পেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানো, যার জন্য পড়াশুনা করছে সে। ওদিকে নায়ক রুদ্রিক, পরিবারের পয়সায় বিগড়ে যাওয়া উদ্ধত, উশৃংখল, রেকলেস লাইফ লিড করা একটি ছেলে। কোনও কিছুকেই মানে না সে। কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক এর সংজ্ঞা তাঁর কাছে ‘আমার যা ইচ্ছে’। ‘বড়লোকের বখাটে ছেলের’ সুস্পষ্ট উদাহরণ ৷ সে কাউকে পরোয়া করে না। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি, রাতবিরেতে হুল্লোড়, স্পিড ড্রাইভিং এর তাঁর লাইফ। এমনকি তার জন্য যদি কোন অঘটন ঘটে, তা নিয়ে সামান্য অনুতাপ বোধ তাঁর মধ্যে কাজ করে না।

তবে প্রত্যেকের খারাপ বা ভালো হয়ে ওঠার পিছনে থাকে কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ। সেটা পারিবারিক শিক্ষা হোক বা ডিস্টার্বড চাইল্ডহুড কিংবা অঢেল পয়সা এবং বাড়ির লোকের অগাধ প্রশ্রয়। এ রকমই এক রাতে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করে হুল্লোড় করতে করতে ড্রাইভ করে ফিরছিল রুদ্রিক। রাস্তার পাশে ঝুপড়িতে বাস করা একজনের পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় রুদ্রিক। আর তারপরেই দ্রুতগতিতে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায় সে।

কিন্তু সেই ঘটনা চোখে পড়ে গল্পের নায়িকা তিথির। কারণ সাইকেল নিয়ে সে গাড়ির পেছনে পেছনেই আসছিল। রুদ্রিকের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে তিথি। তাঁকে কাঠগড়ায় অবধি নিয়ে যায়। যদিও রুদ্রিকের দিদি তাঁর আগে তিথিকে ফোন করে রীতিমতন হুমকি দিয়ে বলে, এই ঘটনার সাক্ষী না হতে। এমনকী তিথিকে মুখ বন্ধ করে রাখার জন্য টাকার অফার দেয় রুদ্রিকের দিদি। কিন্তু তিথি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়।

আদালতে দাঁড়িয়েই তিথিকে হুমকি দিয়ে বলে রুদ্রিক বলে, সে তো কিছুক্ষণের মধ্যেই বেরিয়ে আসবে তারপরে কী হবে তিথির। বাবার ক্ষমতা ও টাকার জোরে কোর্ট থেকে ছাড়া পেয়ে তিথির বিয়ের মন্ডপে তাঁর হবু স্বামীর উপর চড়াও হয় রুদ্রিক। এরপর তিথি রুদ্রিকের বাবার দ্বারস্থ হয়ে, তিথি সাফ জানায় ছোটবেলা থেকে নিজের ছেলেকে আদর দিয়ে দিয়ে মানুষ করাতে, তাঁর ছেলে এরকম উদ্ধত, বদমেজাজি, অসভ্য তৈরি হয়েছে। আজ তিথির যা হয়েছে তার মাশুল কে দেবে তার বিচার কে করবে। রুদ্রিকের বাবাকে তিথির করা প্রশ্নের কাছে কিছুটা অসহায় দেখাচ্ছে এই প্রোমোতে। এরপর ঘটনাপ্রবাহ কোন দিকে এগোয় তা জানা যাবে যত ধারাবাহিকে এগোবে।

তিথির চরিত্রে ইন্দ্রাণী পাল, রুদ্রিকের চরিত্রে সুস্মিত মুখার্জি। রুদ্রিকের বাবার চরিত্রে কুশল চক্রবর্তী এবং তিথির মায়ের চরিত্রে দেবযানী চ্যাটার্জি। সুস্মিত এবং ইন্দ্রাণী দুজনেই টেলিভিশনে ডেবিউ করছেন এই ধারাবাহিকে। দুজনেই ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন। দুজনেই কমবেশি থিয়েটার করেছেন। সুস্মিত চাকরি ছেড়ে এলেন অভিনয়ে। দুজনেই পরিচালক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর হাত ধরে টেলি কেরিয়ার শুরু করতে পারার জন্য নিজেদের ধন্য মনে করছেন। ৫ এপ্রিল থেকে সোম থেকে রবি রাত ৮ টায় সম্প্রচারিত হচ্ছে এই ধারাবাহিক, স্টার জলসায়।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.