সাহিত্যসন্ধি নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

0

জাহিদ হাসান নিশান, বিনোদন প্রতিবেদক : সাহিত্যের মাধ্যমে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরার জন্য একজন সাহিত্যকর্মীকে বুঝতে হয় ব্যক্তিমানুষকে, বুঝতে হয় স্বসমাজকে, জানতে হয় রাষ্ট্রব্যবস্থাকে। ব্যক্তির নানামাত্রিক সঙ্কট, মনস্তত্ত্ব ও মানবিক মূল্যবোধকে যথার্থভাবে উপলব্ধি করা একজন লেখকের প্রাথমিক কাজ। তারপর ব্যক্তির সঙ্গে সমাজের সম্পর্ক, ব্যক্তির ওপর সমাজের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব, সামাজিক প্রথা বা বিধিনিষেধের প্রতি সমাজস্থ মানুষের মনোভাব এবং ব্যক্তির সঙ্গে সমাজের বৈরী সম্পর্কের সম্ভাব্য কারণগুলোও অনুসন্ধান করতে হয় লেখককে। রাষ্ট্রব্যবস্থার সঙ্গতি-অসঙ্গতির প্রতিও গভীর দৃষ্টি রাখতে হয়। এই নানামাত্রিক নিরীক্ষা থেকেই একজন লেখককে তুলে আনতে হয় সাহিত্য নির্মাণের মাল-মসলা। তাই লেখক শুধু দেখবেন না। লেখক নিরীক্ষণ করবেন। দৃষ্টি দিয়ে দেখবেন। অন্তর্দৃষ্টি দিয়েও দেখবেন।

এমনই প্রত্যাশা থেকে আত্মপ্রকাশ হয়েছে সাহিত্য সংগঠন “সাহিত্যসন্ধি”র। সম্প্রতি সিলেটের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ( কেমুসাস) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২ বছর মেয়াদি কমিটি ঘোষণা করা হয়। উক্ত কমিটিতে উপদেষ্টা মণ্ডলী হিসেবে যাঁরা থাকবেন তাঁরা হলেন ; প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক কালাম আজাদ। উপদেষ্টা আতিক হেলাল, হাসান মনজু, আবদুল অদুদ কামালী,আমিনুল ইসলাম, লুৎফর চৌধুরী, মুন্সী কবির, রবি শংকর ভট্টাচার্য।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক আহমেদ সৈয়দ শাহনূর।
ও এডভোকেট শহিদুল ইসলাম।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী হলেন শান্তা কামালী। নতুন এই কমিটির সভাপতির দ্বায়িত্ব পেয়েছেন দেশের জনপ্রিয় কবি,সাহিত্যিক ও গীতিকার রিন্টু সূত্রধর রিকি। সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, ডেইজী রহমান, কাওসার জাহাজ লিপি, রাহনামা সাব্বীর, চৌধুরী শিপারা শিপা, শাম্মী চৌধুরী ।

সাধারণ সম্পাদক হলেন তালুকদার তোফায়েল । যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , আহমদ রিপন, আহমদ রিপন । সাংগঠনিক সম্পাদক এম,জে,আবেদীন জয়। সহসাংগঠনিক সম্পাদক শক্তি রঞ্জিত বৈদ্য।

অর্থ সম্পাদক আফিফা কামালী। প্রচার সম্পাদক শিরিন শীলা। দপ্তর সম্পাদক তারেশ কান্তি দাস। নির্বাহী সদস্য রওশন আরা বাঁশী, দেওয়ান শামসাদ, শহিদুল ইসলাম লিটন।

সাহিত্যসন্ধীর সভাপতি কবি,সাহিত্যিক ও গীতিকার রিন্টু সুত্রধর রিকি বলেন;”কোনো সংগঠন কাউকে লেখক, কবি বানায় না। কিন্তু লেখকের ভিত্তি তৈরিতে সাহিত্য সংগঠন ভূমিকা পালন করে। আমাদের এই সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজন হবে সাহিত্যাসর। এখানে পাঠ হবে কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ বা যে কোনো ধরনের লেখা। আলোচনা হবে পঠিত লেখার ওপর। এই সংগঠনের মাধ্যমে উপকৃত হবেন সংশ্লিষ্ট লেখক।
আমাদের “সাহিত্যসন্ধি” নতুন একটি সংগঠন, যেটি সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ তৈরিতে করতে আমরা কাজ করে যাব। ”

এই সংগঠনের ফলশ্রুতিতে “সাহিত্যসন্ধি”দেশের শব্দশিল্পীদের কাছে আদুরে একটি নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে৷ সাহিত্যসন্ধি স্বপ্ন দেখে নিজেকে নিজের ছাড়িয়ে যাবার। প্রগতিশীল চিন্তায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং সত্য ও সুন্দরের চর্চায় আরো দূর এগিয়ে যাবে সাহিত্যসন্ধি। এভাবেই একদিন পৃথিবীর সকল শব্দশিল্পী তথা ভালো মানুষের ভালোবাসা কুড়াবে সাহিত্যসন্ধি এমনটাই প্রত্যাশা নতুন কমিটির সকলের।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.