বিমানের শিডিউল বিপর্যয়ে জড়িতদের খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বিমান বাংলাদেশের সম্প্রতি শিডিউল বিপর্যয়ের পেছনের ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান। শনিবার একই সভায় বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, বিমান বিলম্ব হলে বা সেবায় কোনো প্রকার বিঘ্ন ঘটলে এর জন্য দায়ী ব্যক্তিকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদর দপ্তর বলাকায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৫০ বছর পূর্তির লোগো উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

গত ২৫ অক্টোবর থেকে বেতন-ভাতা নিয়ে অসন্তুষ্ট বিমান বাংলাদেশের পাইলটরা তাদের চুক্তি অনুযায়ী কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত কাজ করা থেকে বিরত থাকেন। এতে বিমানের বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বিলম্বিত হয়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

পাইলটদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের আলোচনা এখনও চলছে। এর মধ্যেই শনিবার বিমান প্রতিমন্ত্রীর কড়া এই হুঁশিয়ারি এল। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারও ব্যক্তিগত কোনো কারণে বিমানের সেবার মান ক্ষতিগ্রস্ত হলে, যাত্রীদের ভোগান্তি সৃষ্টি করা হলে, যাত্রার সময় ডিলে করা হলে কোনো ছাড় নয়।

“যে কারণে, যার কারণে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।” মাহবুব আলী বলেন, বিশ্বে করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এভিয়েশন ও পর্যটন খাত। এ সময় বিভিন্ন এয়ারলাইন্স তাদের কর্মী ছাঁটাই করেছে। কিন্তু মানবিক কারণে বিমানের একজন কর্মীকেও চাকরি হারাতে হয়নি।

তিনি বলেন, বর্তমানে কোভিড সংক্রমণ কমে আসায় আকাশ পথে চলাচল আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এ সুযোগ সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে। সভায় বিমান বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান বলেন, ৫০ বছরে বিমান যে পর্যায়ে আসার কথা ছিল, সে পর্যায়ে আসতে পেরেছে কিনা সে বিষয়ে একটা আত্মবিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে।

“বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদে আমরা যারা আছি কিংবা এমডির নেতৃত্বে যারা কাজ করছেন আমাদের একটু ভাবা উচিত আমরা কী চেয়েছিলাম এবং কোথায় এসেছি।“

যাত্রীসেবার মান একটা কাঙ্খিত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, যাত্রীরা যাতে ভালো বলে। কিন্তু আমাদের পারসেপশন অনেকটা আগের মতোই রয়ে গেছে যে, আমরা সেই পর্যায়ে এখনও আসতে পারছি না। “যাত্রীরা ভালো সেবা পাচ্ছে কিনা সেটা কিন্তু আমাদের সব সময় দেখার দরকার আছে।“

বিমানের চেয়ারম্যান বলেন, এটা না বললেই নয়, কয়েকদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন রাষ্ট্রীয় সফরে দেশের বাইরে ছিলেন, তখন অনবরত কয়েকদিন ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয় হয়েছিল। এতে মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। “এর জন্য কে দায়ী সেটা কিন্তু দেখে বের করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।”

বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.