সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারদিনের সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছে। দুই নেতা নিজেদের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে একমত হয়েছেন। দুই নেতা নিজেদের পারস্পরিক ১৩তম বৈঠকে ভবিষ্যত সহযোগিতার নতুন ভিত্তি রচনা করেন। বৈঠকের আগে ও পরে তাদের হাসিমাখা মুখের প্রতিচ্ছবি বলে দেয়, তাদের মধ্যকার আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সফল হয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এটাই বঙ্গবন্ধু কন্যার সম্ভবত শেষ ভারত সফর। তিস্তা নদীর ইস্যুকে পাশ কাটিয়ে চলমান অন্যান্য সমস্যার দ্রুত সমাধান এবং সহযোগিতার নতুন দিগন্ত সৃষ্টির জন্য দুই দেশের কর্মকর্তাদের নির্দেশও দেন তারা। নরেন্দ্র মোদির দুই দেশের কদমে কদম মিলিয়ে চলার অঙ্গীকারের মধ্যেই সফরের মূল বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছেছে।

দুই নেতা যোগাযোগ, খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি, বাণিজ্য, অভিন্ন নদী, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলোতে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। সেখানে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যু, পানি-বণ্টন এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন শেখ হাসিনা।

২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের পর শেখ হাসিনার ভারত সফরটি দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশেষত গোটা বিশ্বেই যখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও মন্দাবস্থার চোখ রাঙানি দিচ্ছে ঠিক সেই সময়ে দুই নেতার বৈঠকের দিকেই চেয়েছিল উভয় দেশের জনগণ।

এখন তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি ছাড়া গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণসহ অন্যান্য সমস্যা মিটে যাওয়ায় দুই দেশের মধ্যে আর বড় কোন সমস্যা নেই। তাই সমসাময়িক বিষয়ের সমাধান করে সংযুক্তি, ট্রানজিটসহ অন্যান্য ইস্যুতে দুই দেশ একসঙ্গে এগোতে চায়। সেক্ষেত্রে দুই দেশের শীর্ষ নেতা চলতি সফরে একটি রূপরেখা দিয়েছেন। আগামীতে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এই রূপরেখার পরিধি বাড়বে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সঙ্কট থেকে উত্তরণে বাংলাদেশ ভারত থেকে সহায়তা চেয়েছে। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি নিয়ে অগ্রগতি না থাকলেও কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সর্বমোট ৭টি সমঝোতা স্মারক সইসহ রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন দুই নেতা। সবমিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরটি দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ককে মজবুত করেছে।

স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশকে দেশটির বড় উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে ঘোষণা করে কদমের সঙ্গে কদম মিলিয়ে চলার অঙ্গীকার করেছেন। শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া লালগালিচা সংবর্ধনা এবং সর্বোচ্চ আতিথেয়তায় দুই দেশের মানুষের মধ্যে আস্থা বেড়েছে। এছাড়া সীমান্তে হত্যাকা- শূন্যে নামিয়ে আনা এবং সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা অঙ্গীকার করায় ভারতের প্রতি আস্থা বেড়েছে।

চারদিনের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তিও কম নয়। বিশেষ করে করোনা পরবর্তী ও ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সহায়তা, বিদ্যুত আমদানি, সেপা চুক্তির বিবেচনার আশ্বাস বাংলাদেশের জনগণকে আশান্বিত করেছে। একইসঙ্গে স্থিতিশীলতা রক্ষাসহ নানা সঙ্কটে বাংলাদেশের পাশে থাকার ভারতের অঙ্গীকারও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে।

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তাদের রুদ্ধদ্বারসহ কয়েক দফা বৈঠক হয়। শীর্ষ বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন তাদের আলোচনায় মতৈক্য হওয়া বিষয়গুলো তুলে ধরেন। পরে বুধবার দেশ দুইটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩৩ অনুচ্ছেদের যৌথ বিবৃতি ঘোষণা করে।

বিবৃতি অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রাপ্তির তালিকায় রয়েছে কুশিয়ারা নদীর ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার, জ্বালানি সহায়তা, খাদ্যপণ্য আমদানি। আর ভারতের প্রাপ্তির তালিকায় রয়েছে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার, ফেনী নদীর পানি বণ্টন। এছাড়া ভারতের আশ্বাসের মধ্যে রয়ে গেছে বহুল প্রতীক্ষিত তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সেপা), রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও সীমান্ত হত্যা ইস্যু।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরকে পর্যালোচনা করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির বিস্তর ফারাক তুলে ধরছেন। আবার অনেকে পারস্পরিক দেয়া- নেয়ার মধ্যে সামঞ্জস্য রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের যুক্তি কী পেলাম, কী দিলাম-বিষয়টি এমন নয়। দুই দেশের মধ্যে যেসব সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এসব সমঝোতা স্মারক ও আলোচনা দুই দেশের সম্পর্কের মজবুত ভিত স্থাপন করেছে। আগামীতে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতাসহ অর্থনৈতিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর সফরটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

তবে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা একমত পোষণ করে বলেছেন, তিস্তার পানি বণ্টন বিষয়ক সুরাহা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। তিস্তা চুক্তির অগ্রগতি পেলে বাংলাদেশের কূটনৈতিক বড় অর্র্জন হতো বলেও তারা মন্তব্য করেন। তাদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ছাড়াও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তা নিয়ে এগোতে পারত। কিন্তু সেটা তারা করেনি। তবে আগামীতে এটি বিবেচনার আশ্বাসও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

দিল্লীর হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠক নিয়ে বুধবার বাংলাদেশ ও ভারত এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে। ৩৩টি অনুচ্ছেদের এই বিবৃতিতে বলা হয়- রাজনীতি, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য, সংযুক্তি, পানিসম্পদ, উন্নয়ন-সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও জনগণের মেলবন্ধনসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

সীমান্তে প্রাণহানির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় দুই শীর্ষ নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুই পক্ষ সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে সম্মত হন।

দুই প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, জলসম্পদ, বিদ্যুত ও জ্বালানি, উন্নয়ন সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সম্পূর্ণ ধারা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার নিরাপত্তা, আইসিটি, মহাকাশ প্রযুক্তি, সবুজ শক্তি এবং নীল অর্থনীতির মতো সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা করেছেন। কোভিড-১৯ মহামারী ও বৈশ্বিক পরিস্থিতির দরুণ সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে তারা এ অঞ্চলের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের স্বার্থে বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের চেতনায় ব্যাপক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি দ্বিপক্ষীয় ও উপ-আঞ্চলিক রেল, সড়ক ও অন্যান্য সংযুক্তির বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ভারত থেকে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ভারত নিজেদের জোগানের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছে। এ লক্ষ্যে ভারত সব রকম প্রয়াস চালাবে।

বাংলাদেশ-ভারতের এই দুই শীর্ষ নেতা সীমান্ত-হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। তারা দক্ষিণ এশিয়া এবং এর বাইরে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদের বিস্তার রুখতে তাদের জোরালো অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

পানিসম্পদ বণ্টনে সহযোগিতার অংশ হিসেবে দুই শীর্ষ নেতা কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। ত্রিপুরা রাজ্যের সেচের প্রয়োজনীয়তাকে বিবেচনায় নিয়ে ফেনী নদীর অন্তর্বর্তী চুক্তি সইয়ের জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে ভারত। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা অন্তর্বর্তী চুক্তি সইয়ের রূপরেখা তৈরি এবং তথ্য-উপাত্ত বিনিময়ের লক্ষ্যে বাড়তি কয়েকটি নদী যুক্ত করতে যৌথ নদী কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে গঙ্গার পানির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারে যৌথ সমীক্ষার জন্য যৌথ কারিগরি কমিটি গঠনকে স্বাগত জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতের আলোচনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে তিস্তার অন্তর্বর্তী পানি চুক্তি সইয়ের জন্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের অন্তর্বর্তী চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়েছিল ২০১১ সালে।

দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকের ফলাফলের বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, একটি সফরে সব সঙ্কট সমাধান হবে, বিষয়টি এমন নয়। পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হলেও কুশিয়ারা নদী ছাড়া অন্য নদীর বিষয়ে কোন অগ্রগতি হয়নি। অপরদিকে ভারত ফেনী নদীর পানিও চেয়েছে। আর তিস্তা নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে ভারত। তবে বাংলাদেশ তিস্তার সমাধান চেয়েছে।

তবে আমরা জ্বালানি বিষয়ক সহায়তা পেয়েছি। ভারত থেকে আমরা ডিজেল ও গ্যাস কিনতে পারব। খাদ্যপণ্য আমাদানিতেও আমরা ছাড় পাব। তবে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর সমাধান তেমন হয়নি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারতের অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা উচিত, যেন ভবিষ্যতে দুই দেশের সমস্যাগুলো সমাধান করা সহজ হয়।’ বলেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, প্রত্যাশার তুলনায় প্রাপ্তির পরিমাণটা এবার কম। যে সাতটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ কোন চুক্তি নয়। তিস্তা চুক্তি বা সীমান্ত হত্যা বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হয়নি।

তিস্তার বিষয়টি ২০১১ সাল থেকেই ঝুলে আছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ২০১১ সালে ভারত তিস্তার পানির ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ার করতে সম্মত হয়েছিল এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে শুষ্ক মৌসুমে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ পানি ধরে রেখেছিল।

কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কঠোর বিরোধিতার কারণে চুক্তিটি হয়নি। সে চুক্তি নিয়ে নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিলেও খুব একটা লাভ হবে না, কারণ মমতা ব্যানার্জি সম্মতি না দিলে তিস্তা চুক্তির সমাধান হবে না।

ইমতিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতেও আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। জাতিসংঘে ভারত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিলে হয়ত সমাধান হতে পারে। এছাড়া সীমান্ত হত্যা বন্ধের ক্ষেত্রেও তেমন কোন আলোচনা হয়নি। অর্থাৎ শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনায় দেশের মেজর ইস্যুগুলো নিয়ে সমাধান হয়নি। তবে একটি সফরে সবকিছু আশা করাও ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন এই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক। তার মতে, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের উন্নতি বজায় রাখতে রাষ্ট্রীয় সফর বেশি করা উচিত। যেন চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টি আরও স্বচ্ছ হয়।

চারদিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার দিল্লীর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। মঙ্গলবার নয়াদিল্লীর হায়দরাবাদ হাউসে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি শীর্ষ বৈঠক করেন। বৈঠকের আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান নরেন্দ্র মোদি। আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়া হয় গার্ড অব অনার। বুধবার ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩৩ অনুচ্ছেদের যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে। বৃহস্পতিবার ভারতের আজমির শরীফে খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর (রহ) মাজার জিয়ারত আর মোনাজাত করে জয়পুর থেকে বাংলাদেশে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.