ইবিতে বিচারকদের মিলনমেলা

0

ইবি প্রতিনিধি: ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় জাজেস এসোসিয়েশন’র উদ্যোগে বিচারকদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্বিবদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম ত্বোহার সভাপতিত্বে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি কে এম হাফিজুল ইসলাম সহ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রায় ৮০ জন বিচারক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দা সিদ্দীকা, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল, আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি সাহিদা আখতার সহ তিনটি বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১০টায় সকল বিচারক মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় আইন বিভাগে ঘোরাঘুরি ও পারস্পরিক আলাপন করেন। পরে বেলা ১১টায় সকল বিচারক মিলনায়তনে প্রবেশ করে।

বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ওয়াজেদুর রহমান ও আশরাফুন্নাহার রিতার যৌথ সঞ্চালনায় বেলা ১১টা থেকে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এসময় বিচারক ও বিভাগের শিক্ষকরা আলোচনা করে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাদের আলোচনা চলে। পরে বিচারকরা বিভাগকে ক্রেষ্ট উপহার দেন। সাড়ে তিনটার দিকে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি কে এম হাফিজুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। বিকেল ৪ টা থেকে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়।

অনুষ্ঠানে বিচারকরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতি, কর্ম জীবনের অভিজ্ঞতা আলোচনা করেন এবং অনুজদের জন্য পরামর্শ মূলক বক্তব্য রাখেন। কে এম হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আপনার যদি নিজের প্রতি কনফিডেন্স থাকে এবং নিজেকে শারীরিক ও আর্থিকভাবে ফিট মনে করেন তাহলে বিচারক বা আইনজীবী পেশায় আসতে পারেন। পর্যাপ্ত আইনের জ্ঞান, আইন প্রয়োগের ক্ষমতা এবং নিজেকে খাপ খাওয়ার মতো গুন গুলো থাকতে হবে যেগুলো নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আর্জিত হয়।’

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘আপনি যে কোন পেশায় যান না কেন আপনাকে সৎ থাকতে হবে। সততা সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। বিচারক ও আইনি পেশায় আপনাকে সততার পরিচয় থাকতে হবে। সৎ না থাকলে আপনার কাছে কোন ক্লায়েন্টও আসবে না।’

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.