কর কাঠামোর ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা-তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপ তামাকের ব্যবহার কমাবে ও রাজস্ব আয় বাড়াবে

0

তৌহিদ উদ দৌলা রেজা মেহেরপুর থেকে : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাক মুক্ত করতে হলে অতিদ্রুত তামাকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা ও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করতে চলতি অর্থবছর থেকে সবধরনের তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা জরুরি। কারণ তামাক মুক্তকরণের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হলো ট্যাক্স বাড়িয়ে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করা। তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপ একইসাথে তামাকের ব্যবহার কমাবে ও রাজস্ব আয় বাড়াবে। ইতোমধ্যে দক্ষিণ-পূ্র্ব এশিয়ার থাইল্যান্ড, শীলংকা, ভারত, ফিলিপাইনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এতে সফলতা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) এর যৌথ আয়োজনে “ইকোনোমিক্স অব ট্যোবাকো ট্যাক্সেশন : পাবলিক হেলথ পার্সপেকটিভ” শিরোনামে তিন দিনব্যাপী এক অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় মিটিং সফটওয়ার জুমে এ প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়। কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।

বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, যথোপযুক্ত পদ্ধতি ও পরিমাণে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধিসহ সার্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে বাধাগ্রন্ত করতে তামাক কোস্পানী নানা অপকৌশলের আশ্রয় নেয়। তারা নানা রূপকথা তৈরী করে। এই প্রশিক্ষণের মাধমে অর্জিত জ্ঞান তামাক কোস্পানীর এসব অপকৌশল বুঝতে এবং তাা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি তামাক কর বিষয়ক অধিকতর জ্ঞান চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রথম দিনের একটি সেশনে প্রশিক্ষক হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অব গভার্নেন্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে তামাক মুক্তকরণে অন্যতম বড় বাধা হলো বর্তমানে প্রচলিত তামাক কর কাঠামো। এর ফলে প্রতি বছর তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য নামে মাত্র বৃদ্ধি পেলেও ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে না। তারা স্বল্প মূল্যের অন্য তামাক দ্রব্য গ্রহণ করেন। এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট কর আরোপের কোনো বিকল্প নেই।

প্রথম দিনে প্রশিক্ষক হিসেবে আরো উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযেগী অধ্যাপক এসএম আব্দুল্লাহ।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা দ্য ইউনিয়নের সহায়তায় এই এই প্রশিক্ষণ কোর্সে উন্নয়ন কর্মী, সাংবাদিক ও তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.