কবি মুকুল কান্তি ত্রিপুরা করোনা পজিটিভ হলেও এখন সুস্থ আছেন
রাঙামাটি প্রতিনিধি : গত ১২ই মে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এ আক্রান্ত হয়েছেন রাঙামাটি পাবলিক কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ও কবি মুকুল কান্তি ত্রিপুরা। তিনি জানান, গত ১১ই মে (মঙ্গলবার) তাঁর শ্বশুর-শ্বাশুড়ি করোনা টেস্ট করালে রিপোর্টে তাঁর শ্বাশুড়ির পজিটিভ আসে। তখন তিনি রাঙামাটিতে ছিলেন এবং ১২ই মে (বুধবার) তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করছিলেন। সেই দিনে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পরিবারের সবাই করোনা টেস্ট করালে রিপোর্টে তিনজনের করোনা পজিটিভ আসে। পরিবারের মধ্যে তিনি, তাঁর মেয়ে লামসক ত্রিপুরা (১বছর ৩মাস) এবং তাঁর মেয়ের গৃহপরিচালিকাসহ তিনজন করোনায় আক্রান্ত হন। ১২ই মে পরদিন তিনজন কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করে চিকিৎসা করেন।
তিনি আরও জানান, তাঁর শরীরটা খুবই খারাপ এবং আশঙ্কাজনক ছিল তবে এখন কিছুটা সুস্থ হয়েছেন। ডায়াবেটিস থাকার কারণে শরীর বেশি খারাপ হওয়ায় ১৯ মে (বুধবার) খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। আজ ২৭ মে (বৃহস্পতিবার) করোনা টেস্ট করালে নেগেটিভ আসে এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে পরিবারের সবাই সুস্থ হয়েছেন বলে জানান তিনি।
দেশে নতুন করে বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। এর আগে গত বছর রাঙামাটি পাবলিক কলেজের যুক্তিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক রেনী চাকমা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও রাঙামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক হোসেন কবীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন এবং বর্তমানে তাঁর শারিরীক অবস্থা উন্নতির দিকে।
প্রসঙ্গত, মুকুল কান্তি ত্রিপুরা রাঙ্গামাটি পাবলিক কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার রাম রতন কার্বারী পাড়ার বাসীন্দা। তিনি খোকা রঞ্জন ত্রিপুরা ও কনিকা ত্রিপুরা দম্পত্তির জ্যেষ্ঠ সন্তান। তাঁর লেখালেখি শুরু কৈশবে ছড়া, কবিতার মধ্য দিয়েই। তাঁর ত্রিপুরা ভাষায় রচিত প্রথম কাব্যগ্রস্থ “এমাংনি খুমতাং” যার বাংলা অর্থ “স্বপ্নের পুষ্পমাল্য” গত ১৬ই মার্চ মোড়ক ও প্রচ্ছদ উন্মোচন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। এছাড়া তিনি আরও বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ লেখা ও সম্পাদনা করেছেন।