রাঙ্গামাটির ৯ উপজেলায় ৬২৩টি ঘর পেলেন ভূমিহীন ও গৃহহীনরা

0

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতেও ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৬২৩টি গৃহ নির্মাণ করে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। নির্মিত এসব ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ২য় পর্যায়ে চাবি হস্তান্তর করেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, দীপংকর তালুকদার এমপি।

রোববার (২০ জুন) সকালে রাঙ্গামাটির জিমনেসিয়াম সম্মেলন কক্ষে সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর প্রদান কার্যক্রমের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মামুন, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শিল্পী রানী রায়, সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান, চেয়ারম্যান দুর্গেস্বর চাকমা, প্যানেল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলামসহ সরকারি-বেসরকারির উর্ধ্বতন কর্মকতা নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ ও উপকার ভোগীরা প্রমূখ।

প্রসঙ্গত, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির ১০ টি উপজেলায় ১ম পর্যায়ে ২৬৮ টি গৃহ নির্মাণ সম্পন্ন করে উপকার ভোগীদের হস্তান্তর করা হয়েছে। ২য় পর্যায়ে ৬২৩টি গৃহের নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন করে চাবি হস্তান্তর করা হয়।নির্মিত ঘর ১০টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫৬টি, কাপ্তাই উপজেলায় ৩৫টি, রাজস্থলিতে ১৭৭টি, বাঘাইছড়িতে ৪৫টি, লংগদুতে ৯১টি, নানিয়ারচর উপজেলায় ৩টি, জুরাছরিতে ১০টি, বিলাইছড়িতে ৩৭টি এবং কাউখালীতে ৬৯টিসহ মোট ৬২৩টি। তবে বরকল উপজেলায় এবার কেউ জমি ও ঘর পায়নি। উপজেলা টাস্কফোর্স থেকে চাহিদার সংক্রান্ত প্রস্তাব না পাওয়ায় এবার ২য় পর্যায়ে বরকল উপজেলায় জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম নেই।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.