৫০ লক্ষাধিক টাকার গরু নিয়ে ৭ মাস উধাও বজলু নামে এক প্রতারক

0

সোম মল্লিক যশোর প্রতিনিধি : বজলুর রহমান ওরফে বজলু (৪১) কোথায় জানেনা কেউ ? তার অবস্থান জানতে মণিরামপুরের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার খুঁজে চলেছেন। গত ৭ মাস ৫০ লক্ষাধিক টাকার গরু নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন এই বজলুর রহমান। সে এলাকাবাসীর কাছে এখন প্রতারক হিসেবে চিহ্ণিত হয়ে পড়েছে। উপজেলার খাটুয়াডাংগা গ্রামের মৃত. আব্দুল খালেক বিশ্বাসের ছেলে এ বজলুর রহমান। তার পেশা ছিল গরু ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, এলাকার অসংখ্য লোকজনের নিকট থেকে বাকিতে গরু কিনে টাকা পরিশোধ না করেই আতœগোপনে চলে গেছে।

আম্রঝুটা গ্রামের শিক্ষক মদন মোহন হালদার বলেন, ১ লক্ষ ১০ হাজার মূল্য নির্ধারন করে তার গরু নিয়ে যায় বজলুর রহমান। গরু হাটে বিক্রি করে গত ২১ নভেম্বর তার টাকা দেওয়ার দিন ধার্য্য ছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত টাকাও নেই, বজলুও নেই। তিনি অনেক খোঁজাখুজি করে তার কোন সন্ধ্যান না পেয়ে অবশেষে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন সুফল হয়নি।

খাটুয়াডাংগা গ্রামের আবু তাহের বলেন, গত ৭ মাস আগে ৬০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু ও কিছু নগদ টাকা ধার নেয় বজলু। পরেরদিন মঙ্গলবার মণিরামপুরের হাট থেকে গরু বিক্রি করে টাকা পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু পরদিন হাটবেলা শেষে সন্ধ্যায় তার বাড়িতে গেলে তার বাড়ির লোকজন সন্ধান দিতে পারেনি। এরপর থেকে বজলুর মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। তার ভাষ্যমতে প্রতারক বজলু বিভিন্ন কৌশলে এলাকার প্রায় অর্ধশত ব্যক্তির বাড়ি থেকে বাকিতে গরু কিনে উধাও রয়েছে।

এছাড়া আম্রঝুটা গ্রামের মশিয়ার রহমান মোড়ল, কার্ত্তিক রায়, মতিয়ার রহমান, আমজাদ গাজী, খাটুয়াডাংগা গ্রামের নওয়াবালি, নাছির উদ্দিন, তাজাম্মুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, ইসমাইল, হোসেন, আব্বাজ, শহর আলী, কাজিয়াড়া গ্রামের আরজুসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে বাকিতে গরু কিনে পালিয়ে গেছেন এই প্রতারক বজলুর রহমান। ক্ষতিগ্রস্থ এসব পরিবারগুলো প্রায় অর্ধকোটি টাকা পাবে তার কাছে। গরু বিক্রেতা এসব ব্যক্তিরা বজলুকে দেশের সম্ভব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর করে ব্যর্থ হয়েছেন।

এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এএসআই কাজল চ্যাটার্জির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বজলুর রমহানের ঠিকানায় বহুবার খোঁজাখুজির চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে এখনও খোঁজার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

স্থানীয় দূর্বাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মাজহারুল আনোয়ার বলেন, এ ব্যাপারে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন তার নিকট কোন অভিযোগ দেয়নি। ফলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেনা।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.