সন্তানকে বুকে জড়িয়ে আদর করতে পারিনা, কারণ আমি যে করোনাযোদ্ধা -গাজী মোহাম্মদ আব্দুর রহিম

0

মেহেদী হাসান আকন্দ : কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) বর্তমানে এক বৈষিক মহামারীতে রুপ নিয়েছে। এই ভাইরাসের কাছে শুধু আমাদের দেশ নয়, গোটা বিশ্ব আজ অসহায়। বর্তমানে দেশে একদিকে চলছে করোনার দাপট অন্যদিকে নেত্রকোণার অনেক অঞ্চল বন্যাকবলিত। আমরা একদিকে ঘরবন্দী, অন্যদিকে পানিবন্দী। সব মিলিয়ে আমরা এক কঠিন দূর্যোগময় সময় অতিক্রম করছি। তবে খুব শীঘ্রই আমরা এই কঠিন দূর্যোগ কাঠিয়ে উঠবো এবং করোনাভাইরাসকে ঠিক একদিন প্রতিহত করতে আমরা সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ।

করোনার এই মহামারীতে আপনজনরাও পর হয়ে যায়, দুরে সরে যান প্রতিবেশীরাও। ফলে করোনা আক্রান্তদের সেবা, চিকিৎসা এবং মরদেহ কাফন-দাফন নিয়ে সৃস্টি হয় জটিলতা। করোনার এই মহামারীতে এদৃশ্য রোজকার। এই সংকটে কেউ যখন এগিয়ে আসেনা তখন ভয়কে জয় করে মানবিকতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করে আমরা গঠন করেছি বিশেষ টিম। আমরা করোনা সংক্রমনরোধে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন, আক্রান্তদের মানসিক সাহস বৃদ্ধি, তাদের বাসায় প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানোর কাজ করে যাচ্ছি। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশিত সামাজিক সুরক্ষা বজায় রেখে জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মরদেহ ধর্মীয় বিধানমতে কাফন-দাফন করছি বলে জানান, বিশেষ টিমের প্রধান সমন্বয়ক ও খেলাফত যুব আন্দোলনের সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আব্দুর রহিম।

জেলার মদন উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক মরদেহ কাফন-দাফন করতে গিয়ে স্বজনদের হামলার স্বীকার হোন বলে তিনি জানান। গাজী মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বলেন, ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইনস থেকে পাঠানো কফিনবন্দী মরদেহ দাফন করতে গিয়ে স্বজনদের দ্বারা বাঁধার সম্মূখিন হতে হয়। একপর্যায়ে তাদের হামলায় তিনি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহত হয় বলে জানান। স্বজনদের অভিযোগ কফিনে কার লাশ এটা তারা সনাক্ত না করে দাফন করতে দিবেনা। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মরদেহের কফিন খোলার সরকারী নির্দেশনা না থাকলেও উর্দ্ধত্বন কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশে লাশ সনাক্তের পর দাফন করতে হয়।
তিনি আরোও বলেন, আমরা পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে মিশতে পারিনা। বাসায় গেলে সন্তানরা বাবা বাবা বলে চিৎকার দিয়ে ডাকতে থাকে কিন্তু সন্তানদের বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে পারিনা। কারণ আমি যে, করোনা যুদ্ধের সম্মূখযোদ্ধা।

মানব সেবায় বিশেষ এ টিমে রয়েছেন, প্রধান সমন্বয়ক গাজী মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, হাফেজ আবুল কাসেম, মাওলানা আব্দুল হান্নান, মাওলানা মোহাম্মাদুল্লাহ নাঈম, মাওঃ মুর্শিদ আলম সিরাজী, মাওঃ মোস্তফা আহমদ জিহাদি, মুফ্তি জহিরুল ইসলাম শাহ্পুরী, মাওলানা জাকারিয়া রাহী, হাফেজ আব্দুল মোতালিব, হাফেজ রহুল আমিন, মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, মোহাম্মদ মামুন, রমজান মিয়া, নও মুসলিম আনাস আহমাদ, ফাহিম রহমান খাঁন পাঠান, মাওলানা আহম্মদ চাকি, মাওলানা মুস্তফা জিহাদী, নুরে আলম চৌধুরী মুন্না।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.