বড়লেখার খাসিয়া পুঞ্জিতে করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক প্রচার ও মাস্ক লিফলেট বিতরণ

0

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সাত নম্বর আদিবাসী খাসি পুঞ্জিতে করোনা সচেতনতায় মাইকিং, প্রচারপত্র বিলি ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
খাসি ইয়ুথ ক্লাব সাত নম্বর পুঞ্জি, মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগিতায়
বড়লেখা খাসি যুব সেচ্ছাসেবী সংগঠন এই প্রচারণা চালায়। দুপুর ১২ টা ৩ টা পর্যন্ত ৭ নম্বর ও ১০ নম্বর পুঞ্জিতে প্রচারণা হয়।
বড়লেখা খাসি যুব সেচ্ছাসেবী সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কয়েকটি পুঞ্জির বাসিন্দাদের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। এ অবস্থায় বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন ১৮টি পুঞ্জির বাসিন্দাদের করোনা সচেতনতা, টিকার নিবন্ধনসহ বিভিন্ন বিষয় সচেতন করতে আদিবাসী যুবকদের নিয়ে একটি সেচ্ছাসেবী দল গঠন করে দেয় এবং কমিটির সদস্যদের কাছে ৫টি হ্যান্ড মাইক ও সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
এরপর কমিটির সদস্যরা ৪টি দলে বিভক্ত হয়ে পুঞ্জিগুলোতে জনসচেতনতামুলক কাজ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গেল বুধবার (৪ আগস্ট) উপজেলার বেরেঙ্গা, কুমারশাইল, পাল্লাথল, বাতামোড়ল, ৫ নম্বর, দুর্বিনটিলা, মোকামটিলা পুঞ্জিতে প্রচারণা হয়। রোজ বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউপি ৭ নম্বর ও ১০ নম্বর পুঞ্জিতে জনসচেতনতার প্রচারণা চালানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বড়লেখা খাসি যুব সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর মাইকেল নংরুম, প্রবীণসন সুছিয়াং, সিতেশ খংলাঃ, খাসি ইয়ুথ ক্লাব সাত নম্বর পুঞ্জির সদস্য, প্রিয়াঙ্কা এলগিরি, গীভমি খংলাঃ, মল্লিকা পালা, ফ্লিনা খংলাঃ। অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের শিশু উন্নয়ন কর্মী হেমসন ধার, রাজু খংলাঃ প্রমূখ।
বড়লেখা খাসি যুব সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর মাইকেল নংরুম বলেন, বড়লেখা উপজেলা কিছুসংখ্যক খাসি পুঞ্জিগুলোতে করোনার উপসর্গ দেখা পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরামর্শে পুঞ্জিতে সচেতনতা বৃদ্ধি, ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আদিবাসী খাসি সম্প্রদায়ের শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের নিয়ে একটি সেচ্ছাসেবী দল গঠন করি। আজ দুটি পুঞ্জিতে প্রচারণা হয়েছে। গেল বুধবারও কয়েকটি পুঞ্জিতে প্রচারণা চালানো হয়। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
খাসি ইয়ুথ ক্লাব সাত নম্বর পুঞ্জির সদস্য প্রিয়াঙ্কা এলগিরি বলেন,এই মহৎ উদ্যোগের জন্য উপজেলা প্রশাসনক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের মাধ্যমে খাসি পুঞ্জিগুলোতে করোনা সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। তাদের পাশাপাশি আমরাও মানুষকে করোনা সচেতনতা ও টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে উদ্ভুদ্ধ করছি।
সাত নম্বর পুঞ্জির বাসিন্দা মিথিলা বারেঃ বলেন, খাসি যুব সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা করোনা সচেতনতায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন এবং সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। টিকা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করছেন। এতে পুঞ্জির বাসিন্দারা করোনা বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে তাদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.