ছাগল পালন করে নীলফমারীতে ভিক্ষুক ছকদ্দি এখন স্বাবলম্বী

0

সত্যেন্দ্র নাথ রায় , নীলফামারী থেকে ফিরে : এক সময় মানুষের বাড়ির দাঁড়ে দাঁড়ে ,কোন সময় বাজারে.বাসস্ট্যান্ডে, মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষাবৃত্তি করেই চলতো তার সংসার, থাকার ঘড় তোলার সামর্থ টুকুও ছিলনা ছকদ্দির, সংশ্লিস্ট ওয়াডের মেম্বার মসিউর রহমান জানান চৌরাঙ্গী মসজিদ কমিটির লোক জন খরচা দিয়ে তার থাকার ঘড় তুলেদেয়। সে ঘড়েই ছাগল নিয়ে ছকদ্দি.স্ত্রী অনেজা বেগম পেতেছে সংসার। বাবা মা সব হারানো বাক প্রতিবন্ধি ছকদ্দি মামুদ, (৪৫) লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কচুঁয়া চৌরঙ্গী হাটপাড়া মৃত কাদের মামুদ এর ছেলে।সম্পদ বলতে ভিটার ৪ শতাংশ জমি.প্রতিবন্ধি স্ত্রী অনেজা বেগম (৪৪)জানান.সংসারে একটি ১০ বৎসর বয়সী  ছেলে সন্তান আছে পড়াশুনা করে ভাল মানুষ বানাবে বলে তাকে দারোয়ানী খালার বাড়িতে রেখেছে।

তথ্য সুত্রে জানাযায় ২০১৩ হতে ২০১৬ ইং সময় কালে নীলফামারী সদর উপজেলার নন্দিত নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ভিক্ষুক পূর্নবাসন কর্মসুচির আওয়াতায় সদর ২টি ইউনিয়নে প্রায় ১২০ জন ভিক্ষুক কে তালিকার মাধ্যমে  ১ টি করে বখড়ি ছাগল বিতরন করে. লক্ষীচাপ ইউনিয়ন পরিষদে ছকদ্দি ও একটি ছাগল পায়।পাওয়া ছাগলে স্বামী স্ত্রী মিলে পরম যত্নে লালন পালনে বড় করে.৬ মাস পর ১টি বাচ্চা দেয় এর পর ২টি, পর্যায় ক্রমে ছোট বড় মিলে ছাগল মোট ৯ টি ৩ টি ভরন অল্প কিছুদিনের মধ্যে আবার বাচ্চাদেবে ২টি খাসি. বাকিগুলো বখড়ি, বেঁচে থাকার তাগিদে দুমুঠো অন্নের জন্য মানুষের কাছে হাত পাততে হত. তাদের আনিশ্চয়তার জীবনে যে মানুষটি হাসি ফোটাবার জন্য যে সহযোগিতা করেছেন .তিনি হলেন সে সময়কার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী। ছকদ্দির স্ত্রী জানান বর্তমান মোট ছাগলের দাম প্রায় ১লক্ষ্য  টাকা।

সকালে ঘড়থেকে বের করে খেতে দেন কাঠাল পাতা.দুপুরে স্কুল মাঠে ছেড়েদিয় ৫ টার সময় বাড়িতে নিয়ে আসে.ছাগলে যেন সব চাওয়া পাওয়া তাদের, এক মুঠো চালের জন্য যেতে হয়না অন্যের বাড়ির দরজায়. প্রতিবন্ধি ভাতা স্ত্রীর অন্যের বাড়িতে কাজকরে চলেযায় সংসার। ভিক্ষাবৃত্তি  কি, জে আসম্মানের কাজ এখন বোঝেন এখন আর ভিক্ষাবৃত্তি করেন না ছকদ্দি। ছেলেকে পড়াশুনা করে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়  স্বামী স্ত্রী দুজনে.স্বপ্নদেখেন আর দশজনের মত। লক্ষীচাপ ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন সে সময়ের ইউএনও স্যার ভীষন ভালো মানুষ ছিলেন.ছকদ্দির ভালোমন্দ খোজ নিই,সরকারী যেকোন আনুদান আসলেই তাকে সহযোগিতা করা হয়। মুঠোফোনে কথা হলে বিডি২৪ ভিউজের কে (বর্তমান) প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপসচিব , সাবেত আলী (বর্তমান সিনিয়র সচিবের একান্ত সচিব) বলেন দারিদ্র নিরসনে ভিক্ষুকদের ভিক্ষাবৃত্তি দুর করার জন্য সরকার প্রান পন চেস্টা চালাচ্ছে, তালিকার ভিত্তিতে ভিক্ষুককে পুনর্বাসন আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য নানা সুযোগ সুবিধা প্রদান সহ তাদের মুল স্রোত ধারায় নিয়ে আসার চেস্টা চালাচ্ছে।

ভিক্ষুক যেন অসম্মানের এ কাজটি আর না করে। বর্তমানে তেমন কোন মানুষকে দেখিনা সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষের দুঃখে কাঁদেন। সে সময় আমার দ্বায়িত্ব পালন করেছি মাত্র, ছাগল পেয়ে একজনও যদি উপকৃত হন অবশ্যই সেটা সরকারের প্রাপ্তি। দেশের কস্টে পরা মানুষগুলো দুঃখ ,কস্ট ,অভাবকে জয়করে ভালোভাবে বাচুক এই আমার আকাংঙ্খা। সরকারের সাথে দেশের বিত্তবান যারা আছেন তারাও যদি অসহায় মানুষ গুলোর কস্টের কথা ভেবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তবেই  উন্নত দেশে পৌছা সম্ভব।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.