সাতক্ষীরার কলারোয়ার সাবেক চেয়ারম্যান আসলামুল কর্তৃক ইটাভাটা মালিককে তাড়িয়ে ২ কোটি টাকার মালামালসহ ইটভাটা দখলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

0

রিজাউল করিম সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ার সাবেক চেয়ারম্যান আসলামুল কর্তৃক এক ইটাভাটা মালিককে তাড়িয়ে দিয়ে ২ কোটি টাকার মালামালসহ উক্ত ইটভাটা দখলের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, উপজেলার পুটুনি গ্রামের ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেনের স্ত্রী পারুল আক্তার।

তিনি তার লিখিত বক্তব্য বলেন, আমার স্বামী আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে কলারোয়া উপজেলা চিতলা বটতলা এলাকায় পারুল ব্রিক্স নামে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলেন। দাম্পত্য জীবনে আমার ৪ বছর একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ইটভাটা পরিচালনা করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে টাকার প্রয়োজন হওয়ায় চড়াসুদে কিছু মানুষের কাছ থেকে টাকা গ্রহন করেন। আবার তা পরিশোধও করেন। গত ৪ বছর পূর্বে শাকদহা এলাকার মৃত. আতর আলী খানের পুত্র ও কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আসলামুল ইসলাম আমার স্বামীর কাছে গিয়ে বলে টাকা যা লাগে আমি দেবো। আপনি প্রতি লাখে আমাকে ৩০ হাজার টাকা সুদ দিবেন। প্রথমে আমার স্বামী রাজি না হলেও বিভিন্ন সময়ে টাকার প্রয়োজন হওয়ায় কোন উপায় না পেয়ে একপর্যায়ে তার কাছ থেকে ১৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। গত ৪ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে ইট এবং নগদ টাকাসহ প্রায় ৬০লক্ষ টাকা আসলামুলকে দিয়েছেন আমার স্বামী আলমগীর। তারপরও আসলামুলের সুদের টাকা পরিশোধ হয়নি। এরপরও গত বছর আসলামুলের চাপা চাপিতে নিজের বাড়ি বিক্রয় করে ১২লক্ষ টাকা তার হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন। কিন্তু পর সম্পদলোভী আসলামুল এতেও ক্ষ্যান্ত না হয়েও কৌশলে আমার স্বামীর ইটভাটাটি দখলের চক্রান্ত শুরু করেন। ১৯লক্ষ ৫০ হাজার টাকার পরিবর্তে তাকে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা দেওয়া হলেও টাকা পরিশোধ হয়নি মর্মে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকেন। একপর্যায়ে জমির মালিকদের সাথে যোগসাজস করে আসলামুল তার সুদের টাকার সুযোগ নিয়ে ভাটা দখল নিয়ে আমার স্বামীকে তাড়াতে উঠে পড়ে লেগেছেন।

একপর্যায়ে গত ৩০ মার্চ আসলামুল ভাটা দখলের উদ্দেশ্যে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে ভাটায় প্রবেশ করেন। ভাটার ম্যানেজারসহ কর্মচারীদের সেখানে প্রবেশ করতে দেননি এবং আমার স্বামী সেখানে গেলে মারপিটসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন আসলামুল। তিনি আরো বলেন, গত কয়েক বছর ধরে সুদের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আমার স্বামী। বর্তমানে কোটি কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে স্বামী ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যে নিজের বাড়িও বিক্রয় করে দিয়ে আমরা এখন গৃহহারা হয়ে পড়েছি। আমার স্বামীর একমাত্র সম্বল ইটভাটা। সেটিও দখল করতে মরিয়া ওই আসলামুল। তার ইন্ধনে কতিপয় ব্যক্তি আমাদের ইটভাটায় প্রবেশ করে আমার স্বামীকে মারপিটও করেন। ওই ইটভাটাটিই আমাদের একমাত্র সম্বল। সেটি দখল করে নিলে আমাদের শিশু কন্যাসহ স্ব-পরিবারে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন রাস্তা থাকবে না। ভাটা চালাতে না পারলে মানুষের টাকাও পরিশোধ করতে পারবেন না। ফলে আমাদের পথে পথে ঘুরে বেড়াতে হবে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় ওই আসলামুলের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে তাদের একমাত্র সম্বল ইটভাটাটি রক্ষাসহ তার স্বামী যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন এবং ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেন সে জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.