মহেশখালীতে দেশ প্রেমিক ও মানবিক এক পুলিশের গল্প

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে একজন দেশপ্রেমিক মানবিক পুলিশ সর্বত্রই প্রশংসিত হচ্ছেন।

0
এ.এম হোবাইস সজীব কক্সবাজার থেকে : কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে একজন দেশপ্রেমিক মানবিক পুলিশ সর্বত্রই প্রশংসিত হচ্ছেন। পুলিশের দেশ প্রেম ও মানবিক কর্মকাণ্ড এখন এ উপজেলার সর্বত্রই আলোচনায়। মহামারী করোনাভাইরাসে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে বিপন্ন জনসাধারণকে সেবা প্রদান করে উপজেলার বাসিন্দাদের কাছে আস্থা অর্জন করেছে পুলিশ ।
এছাড়াও দেশের ক্লান্তিকালে লকডাউনের এ সময়ে গত ২৫ মে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করার পর পাঞ্জাবী, পাইজমা ও মাথায় টুপি পড়ে প্রতিদিনের মতো নিজ কর্মস্থলে দাঁড়িয়ে লাল সবুজের জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রর্দশন দেখিয়ে নীরবতা পালন করতে দেখা গেছে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের পুলিশ ফাঁড়ীর একজন মানবিক পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ সোহেল রানাকে।
শাহরিয়া বাবু নামে একজন মানবাধিকার কর্মী তার ফেসবুক টাইম লাইনে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রর্দশনের ছবিটি আপলোড করে লিখেছেন,দেশ প্রেমিক মানবিক পুলিশ প্রতিদিনের মতো ঈদের দিন ও জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রর্দশন করতে ভূলেনি মহেশখালীর কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীতে। তার নাম কনস্টেবল সোহেল রানা বলে জানাগেছে । এমন দেশ প্রেমিক মানবিক পুলিশ সদস্য দেশের গর্ব। খুশিতে মন ভরে গেল। জানাগেছে, দেশ প্রেমের গল্পে যে পুলিশ নায়ক চরিত্রের অবর্তীণ হতে পারে, তেমন অনেক উদাহারণই চাপা পড়ে যায় হাজারো ঘটনার ভীড়ে।
তেমনই একটি অপ্রকাশিত গল্প বিডি২৪ভিউজ ডট কম অনলাইন নিউজ পোর্টালের পাঠকের জন্য তুলে ধরা । সময়ে সময়ে আলোচনা-সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশি মুখরোচক হয়ে ওঠে। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারা যে মানবিক কাজ ও দেশ প্রেমের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই তা আমরা ভুলে যাই। তা তুলে ধরিনা তেমন ।
দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করি আমরাই। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো সোহেল রানা । জাতীয় পতাকা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। তাই এই পতাকার সম্মান রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে পবিত্র ঈদের দিন ও জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে ভূলি নি পুলিশের এই সদস্য। জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রর্দশের চিত্রটি পিছন থেকে তার এক সহকর্মীর ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সোস্যল মিড়িয়া ফেসবুকে আপলোড করলে এ প্রতিনিধির চোখে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোন বিশেষ জাতীয় দিবস ছাড়াও তিনি বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকার প্রতি যে সম্মান প্রর্দশন করেছেন দেশের প্রতিটি সৈনিকের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে ছবিটি ।
মহেশখালী থানার আওতাধীন কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীর বিচক্ষণ ইনচার্জ এস আই কিশোর বড়ুয়ার নেতৃত্বে পুলিশের টহল দলের সাথে করোনার সম্মুখ যুদ্ধা হয়ে সড়কে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে এ পুলিশ সদস্যকে বিভিন্ন সময়। দায়িত্ব পালনকালে কয়েকজন পুলিশ কনস্টেবলের মত মিষ্টিভাষী কথা বলায় তার আচরণে সন্তুষ্ট সাধারণ আমজনতা। তিনি নিজেই প্রতিনিয়ত ছুটছেন দায়িত্বরত এলাকার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।
এতে অত্র এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পুলিশের মানবিকতা প্রশংসিত হচ্ছে এবং পুলিশ সদস্যদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে বলে জানাগেছে। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোস্যল মিড়িয়ায় প্রশংসার জুয়ারে ভাসছেন মানবিক ও দেশ প্রেমিক পুলিশের এই সদস্য।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এই পুলিশ সদস্য খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাংগা থানার তাইন্দং ইউনিয়নের মাঝ পাড়া গ্রামের ওসমান আলীর পুত্র। তিনি বিগত ৭ মে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। তার প্রথম কর্মস্থল আর আর এফ,চট্টগ্রাম। সেখান থেকে মহেশখালীর কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীতে পোস্টিং হলে অদ্যবধি নিষ্ঠার সাথে দেশের একজন গর্বিত সৈনিক হয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.