কেউ যখন ঈর্ষান্বিত হয়ে সমালোচনা করে, মনে হয় জোকার ড্যান্স করছে-বিজয় সরকার
জাহিদ হাসান নিশান ; বিনোদন প্রতিবেদক : উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ বিজয় সরকার। যাঁর রচনাশৈলী সুর ও গায়কী যাবতীয় বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সঙ্গেই বিজয় সরকারের সংগীত হয়ে উঠেছে স্বতোৎসারিত প্রবাহের মত৷ অমৃতেনর প্রবাহ বললে খুব ভুল হবে না৷ তাঁর সৃষ্টির এই বিশেষ দিকটিতে ধরা পড়েছে তাঁর প্রতিটা গানগুলোর ভিতরেই।
তাঁর সৃষ্টি প্রতিটি গানের কথায় যেমন ফুটে উঠেছে বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার কথা, তেমনি তিনি কলম ধরছেন বর্তমান কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজব্যবস্থা এবং সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধেও।
গুণী এই সংগীতজ্ঞ যখন প্রতিনিয়ত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন ঠিক তখনই তাঁর গানে ঈর্ষান্বিত হয়ে একদল অযোগ্য,অসাধু লোক গানের ভাবার্থ না বুঝে হিংসা ছড়াচ্ছে।
এ বিষয় নিয়ে কথা হলো বিজয় সরকারের সঙ্গে তিনি বলেন; “সমালোচনা করতে নয়; সমালোচিত হতে যোগ্যতা লাগে । আপনার মধ্যে এমন কিছু গুণাবলী আছেই বলে আপনাকে নিয়ে সমালোচনা করে থাকবে কিছু মানুষ। তাদের মন্তব্যে কান না দিয়ে নিজের লক্ষ্যের দিকে ফোকাস রাখাই উত্তম।
আপনার আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা পেছন থেকে টেনে হেছড়ে নামানোর চেষ্টা করবে।কারন তারা নিজেরা জীবনে কিছু করতে পারেনি অন্যকেও কিছু করে দেখাতে পারেনা।
তাদের সমালোচনার মূল উদ্দেশ্য হলো আপনার মানসিক বিপর্যয়গ্রস্ত করে তোলা, তারপর তারা আপনার জবাবের অপেক্ষায় থাকবে। যেইদিন এই কাজ করবেন ওই দিনই আপনি হেরে যাবেন আর জিতে যাবে সমালোচনাকারী।
তাই আমার গান দেখে শুনে যখন কেউ ঈর্ষান্বিত হয়ে সমালোচনা করে, তখন আমি চিন্তা করি কোন জোকার আমার সামনে দাড়িয়ে আমাকে ডান্স করে দেখাচ্ছে,তখন তাদের ঈর্ষা আর সমালোচনাটাও আমার কাছে হাস্যকর বিষয় হয়ে দাড়ায়।
কথায় আছে “মন্তব্য কোন দিন গন্তব্যে পৌছাতে পারে না”। তাই মন্তব্য রিয়েক্ট না করে সবার উচিত ইগনোর করতে শিখা।”