যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র ইফতার পার্টিতে জিয়া-খালেদা-তারেকের জন্য দোয়া বিশৃংখলা মেনে নেয়া হবে না : আব্দুস সালাম

0

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র ইফতার পার্টিতে দলের প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ দলীয় নেতৃবৃন্দের জন্য দোয়া কামনা করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ ধরে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি না থাকলেও অতি সম্প্রতি গঠিত ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি’র ব্যানারে অয়োজিত ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় বিএনপি গঠিত ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি’র সদস্য সচিব আব্দুস সালাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন ও কেন্দ্রীয় জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক, চিত্রনায়ক হেলাল খান ও বিএনপি নেতা আশিকুর রহমান। খবর ইউএনএ’র।

শনিবার (১ মে) বিকেলে নিউইয়র্কের লাগোর্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেলের বলরুমে আয়োচিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মওলানা ওয়ালিউল্লাহ এবং বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মওলানা আবুল কালাম। অনুষ্ঠানে ইফতার গ্রহণের পর বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম ও বেবী নাজনীন সহ একাধিক নেতার সম্মানে প্ল্যাক প্রদান করা হয়। এছাড়াও ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি’ কর্তৃক প্রকাশিত স্মরণিকা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতৃবৃন্দর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি’ যুক্তরাষ্ট্রের নব মনোনীত আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার, কেন্দ্রীয় যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কামাল সাঈদ মোহন, বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, শরাফত হোসেন বাবু, আলহাজ সোলায়মান ভূইয়া, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, জসিম ভূইয়া, আব্দুস সবুর, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, মাকসুদুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এম এ বাতেন, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমদ, কেন্দ্রীয় জাসাস নেতা গোলাম ফারুক শাহীন, যুক্তরাষ্ট্র জাসাস সভাপতি আবু তাহের, বিএনপি নেতা এবাদ চৌধুরী, আবুল কাশেম, রাফেল তালুকদার, নীরা রব্বানী, মোহাম্মদ বদিউল আলম, যুবদল নেতা ভিপি জহির মোল্লা, এম এ আহাদ, মিজানুর রহমান মিজান, রেজাউল আজাদ ভূইয়া সহ দুই শতাধিক দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভান্যুধায়ী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে শাহ নেওয়াজ, কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, বাবুল চৌধুরী, সঙ্গীত শিল্পী রানো নেওয়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আব্দুস সালাম বলেন, বিএনপিতে কোন বিশৃংখলা মেনে নেয়া হবে না। যারা শৃঙখলা ভঙ্গ করবেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র কমিটির জয়েন্ট কনভেনর আখতার হোসেন বাদলের বিরুদ্বেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। বলেন, দল করতে হলে দলের নিয়ম-শৃংখলা মেনে চলতে হবে। চেন অব কমান্ড মানতে হবে। তিনি যত বড় নেতাই হোন, যে কেউ হোন। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে দলীয় একটি ইফতার পার্টিতে সদ্য গঠিত ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি’র ব্যাপারে আখতার হোসেন বাদল জনাব আব্দুস সালামের সাথে ‘উদ্ধত ও অসদাচারণ’ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বেবী নাজনীন বলেন, আমাদের মা, গণতন্ত্রের মা আজ আওয়ামী সরকারের কাছে বন্দী। তিনি নির্যাতনের শিকার। আমরা তার মুক্তি চাই এবং তিনি যেখানে চিকিৎসা নিতে চান সেখানেই চিকিৎসা করাতে দিতে হবে। হেলাল খান বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার দল বিএনপির নেতা-কর্মী আর দেশের জনগণ আজ আওয়ামী লীগ সরকারের রোশানলে। ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের হাত থেকে সবাইকে বাঁচাতে হবে।
জিল্লুর রহমান জিল্লু তার বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি’ গঠন করায় আব্দুস সালাম সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে আরো শক্তিশালী করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র পূর্নাঙ্গ কমিটি হবে।

মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন তার বক্তব্যে শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এগিয়ে যাবে। তিনি ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি’ দেয়ার জন্য কেন্দ্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ইফতার মাহফিল সফল করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য, নির্ধারিত অতিথির চেয়ে অতিরিক্ত অতিথি হওয়ায় এবং যুক্তরাষ্ট্রে গঠিত ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি’র পদ-পদবী ও নামের তালিকা নিয়ে অনেকের মধ্যে ক্ষোভ থাকায় অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে খানিকটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালামের আহ্বানে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এব্যাপারে দলীয়ভাবে পূনর্বিন্যাস করা হবে বলে আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু জানান।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.