অ্যাসেম্বলী ডিষ্ট্রিক্ট ২৪এ’র নির্বাচন শাহ নেওয়াজের অভিযোগে মাহতাব খান সড়ে দাঁড়ালেন
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্কের অ্যাসেম্বলী ডিষ্ট্রিক্ট ২৪এ’র আগামী প্রাইমারী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলীয় ডিষ্ট্রিক্ট লীডার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই বাংলাদেশী-আমেরিকানের মধ্যে শাহ নেওয়াজের অভিযোগে অপর প্রতিদ্বন্দ্বি মাহতাব খান নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াচ্ছেন। নির্বাচনী আদালতের সিদ্ধান্তেই মাহতাব খান দাঁড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে। বুধবার (২৭ এপ্রিল) আদালত মাহতাব খানের বিরুদ্ধে শাহ নেওয়জের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত জানায়। খবর ইউএনএ’র।
জানা গেছে, শাহ নেওয়াজের অভিযোগ অ্যাসেম্বলী ডিষ্ট্রিক্ট ২৪এ’র আগামী প্রাইমারী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলীয় ডিষ্ট্রিক্ট লীডার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মাহতাব খান-এর পক্ষ থেকে ‘ডেজিগনেশন পিটিশন’ বা ভোটার স্বাক্ষরিত যে তথ্য/ডকুমেন্ট নির্বাচন অফিসে দাখিল করা হয়েছে, তাতে অসততার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে- একই ব্যক্তির হাতের লেখায় একাধিক নাম, স্বাক্ষর, ঠিকানা ইত্যাদি ব্যববহার করা হয়েছে। যাতে সেেন্দহের উদগ্রেব হয় যে মাহতাব খানের পক্ষে দায়েরকৃত তালিকা সঠিকভাবে তৈরী হয়নি। প্রতিদ্বন্দ্বি শাহ নেওয়াজের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের এটর্নীর উপস্থিতিতে একাধিক দিন শুনানী শেষে আদালত সিদ্ধান্ত জানায়।
বুধবার শাহ নেওয়াজ জানান, আদালতের রায়ের পর মাতাব খানকে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াতে হচ্ছে। তার নাম আর ব্যালটে থাকছে না। সে অনিয়ম করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচনী বিধি মোতাবেক একজন প্রার্থীর ‘ডেজিগনেশন পিটিশন’ দাখিল করতে কমপক্ষে ৫০০ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত আবেদন লাগে। সেক্ষেত্রে আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ৮৬১টি স্বাক্ষরযুক্ত আবেদন জমা দিলে তার মধ্যে ২২৭টি স্বাক্ষরযুক্ত আবেদন গৃহীত হয়। ফলে ব্যালট পেপারে তার (মাহতাব খান) নাম থাকবে না এবং আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিনি আপিলও করতে পারবেন না।
শাহ নেওয়াজ বলেন, আদালত অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে, ন্যায়ের পক্ষে রায় দিয়েছেন। সেই সাথে এটি আমার নির্বাচনে প্রাথমিক জয় হয়েছে বলেই মনে করছি।