ভাস্কর ও ভাস্কর্য । মুহম্মদ নূরুল হুদা
ভাস্কর ও ভাস্কর্য
মুহম্মদ নূরুল হুদা
স্বয়ং ভাস্কর্য তুমি স্বয়ং ভাস্কর
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ বাঙালির অস্তিত্ব অমর।
স্বয়ং ভাস্কর তুমি স্বয়ং ভাস্কর্য
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ বাঙালির অভিন্ন ঐশ্বর্য।
স্বয়ং ভাস্কর্য তুমি স্বয়ং ভাস্কর
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ মূর্ত-বিমূর্তের রূপ পরস্পর।
স্বয়ং ভাস্কর্য তুমি স্বয়ং ভাস্কর
সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র বাঙালির চিরমুক্ত ঘর।
অনন্তর
অস্ত্রসমর্পণ আর নয়; ওরে ধর্,
হাতে হাতে অস্ত্র তুলে ধর্;
অস্ত্রগ্রহণের ক্ষণ চিরন্তন
বিজয়ী বীরের মাস এই ডিসেম্বর:
বাংলাদেশ নয় কোনো তস্করের ঘর।
চূড়ান্ত বিজয় শেষে নেই আর ভয়ডর
বীরবাঙালির। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যার,
বুকে থাক সর্বজয়ী আলোকাস্ত্র তার;
ন্যায়দণ্ডধর যোদ্ধা বেশুমার
বুকে মুখে পুষে রাখে সাহস অপার।
বাঙালি বিজয়ী জাতি, লাঠিয়াল খাস,
বাঁশের কেল্লায় গড়ে জাতিইতিহাস;
বিজয়সিংহের বীজ করে চাষ
এই বাংলা যুগে যুগে বিজয়নিবাস।
স্বয়ং ভাস্কর তুমি স্বয়ং ভাস্কর্য
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ বাঙালির অভিন্ন ঐশ্বর্য।
বিজয়ের ভাস্করেরা
হাতে হাত ধরো,
বিজয়-ভাস্কর্য গড়ো
ঘরে-ঘরে নগরে-বন্দরে
জনপদে মোড়ে-মোড়ে
এ বাংলার প্রতি নদীবাঁকে;
বাঙালি অজেয় জাতি
মুক্তির ভাস্কর-পিতা
মুজিবের ডাকে।
স্বয়ং ভাস্কর্য তুমি স্বয়ং ভাস্কর
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ বিজয়ের রূপ পরস্পর।
বিমূর্ত সুন্দর থেকে
মূর্তসুন্দরের রূপ গড়ো তুমি,
অনন্ত অনঙ্গ বঙ্গ মূর্ত
মুজিবের হাতে চিরমুক্তভূমি।
মুজিব মৌলিক স্বর, রাজনীতির ভাস্কর,
বাংলাদেশ অবিনাশী ভাস্কর্য তোমার;
তুমি বীর তিতুমীর, ক্ষুধিরাম, সত্যপীর আর
বাঙালির স্বাধীন সত্তার তুমি মূর্ত রূপকার।
তুমি পিতা, জাতিপিতা,
রাজনীতি তোমার কবিতা,
জাতিমঙ্গলের তুমি কারিগর,
মঙ্গল ভাস্কর্য এই বাংলাদেশ,
তুমি যার মঙ্গল ভাস্কর।
স্বয়ং ভাস্কর্য তুমি স্বয়ং ভাস্কর
সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র বাঙালির চিরমুক্ত ঘর।
স্বাধীনতা-স্তম্ভ হয়ে অনন্ত দণ্ডায়মান
অবিনাশী তোমার তর্জনী;
আলোর শরীর নিয়ে লোক থেকে লোকান্তরে
বাঙালির কণ্ঠে কণ্ঠে শুনি সেই বিজয়ের ধ্বনি।
নিজেই ভাস্কর্য তুমি নিজেই ভাস্কর
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ বাঙালির অস্তিত্বের স্বর,
স্বাধীন স্বদেশ জুড়ে চিরকাল স্বকণ্ঠে ভাস্বর
সেই বজ্রস্বর
সেই বজ্রস্বর
সেই বজ্রস্বর
নিজেই ভাস্কর্য তুমি নিজেই ভাস্কর
জাতিপিতা শেখ মুজিবর
জাতিপিতা শেখ মুজিবর
জাতিপিতা শেখ মুজিবর
০৭-০৮.১২.২০২০