যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন বাঁশের সাঁকো

0

মোঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ১ নং নশরতপুর ইউনিয়নে ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন ইছামতী নদীর উপর নির্মিত বাঁশের তৈরি সাঁকো। যার দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট।

স্থানীয়রা এই সাঁকোর উপর নির্ভর বছরের পর বছর যাতায়াত করে আসছে। সাঁকোর স্থানে জরুরি ভিত্তিতে একটি পাকা সেতু করার দাবি স্থানীয়দের। সাঁকোটির অবস্থা বর্তমানে বেহাল হয়ে পড়েছে। নদীর এপার থেকে ওপারে যাওয়ার কোন বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হতে হচ্ছে জনগণসহ ছোট-বড় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা।

আলোকডিহি গ্রামের সাধনা রায় জানান, বাঁশের সাঁকো পার হতে খুব ভয় করে। পার হওয়ার সময় মনে হয় কখন না সাঁকোটি ভেঙে পড়ে যায়।

রাণীরবন্দর এন আই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাছরীন আক্তার জানায়, সেতু না থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোর উপর দিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করতে হয়। এছাড় বৃষ্টির সময় এ দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।

অত্র এলাকার নাসিম, জাহিদুল, মকবুল জানান, চাঁদা তুলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি এ সাঁকো দিয়েই চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর, চকগোবিন্দ, আলোকডিহি, ফতেজংপুর, উত্তর পলাশবাড়ী, খানসামা উপজেলার দুবলিয়া, গোয়ালডিহি, লালদিঘী, নীলফামারীর বড়য়াসহ ১৩টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।

গছাহার গ্রামের জিয়ারুল হক বলেন, এ এলাকা মূলত কৃষিনির্ভর। এখানে শাকসবজিসহ প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয়। কিন্তু সেতু না থাকায় নদীর পূর্ব পাড়ের কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সময়মতো কাটে আনতে পারেন না। বাজারে আনতে গেলে ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হয়। এতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়।

এ ব্যাপারে নশরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর ইসলাম শাহ জানান, ইউনিয়ন পরিষদের এখতিয়ার না থাকায় ইচ্ছা থাকলেও সেতু তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই এটি নির্মাণে সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করা যায়।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.