মণিরামপুরে টেকা নদী বন্ধ করে ব্রিজ নির্মানের অভিযোগ

0

যশোর প্রতিনিধি : অভয়নগর-মণিরামপুরের সীমান্তবর্তী টেকা নদী বন্ধ করে টেকা ব্রিজ পূন:নির্মান করার প্রস্তুতি চলছে। ভবদহ এলাকাবাসির অভিযোগ, টেকা নদী বন্ধ করে দিলে ডুবে মরবে ভবদহ উত্তর অঞ্চলের বাসিন্দারা।

তাদের দাবি, টেকা নদী নিয়ে ভবদহ অঞ্চলের পানি প্রবাহিত হয়ে ভবদহের ৩৫ গেট দিয়ে বের হয়ে শ্রী নদীতে পড়ে। এখন টেকা ব্রিজ পুন:নির্মান করতে টেকা নদী আটঁকিয়ে দেয়া হয় তাহলে ভবদহ অঞ্চলবাসি ডুবে মরবে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, টেকা ব্রিজ পুণ:নির্মান করতে টেকা নদীতে বাঁধ দিয়ে, পশ্চিম পাশ দিয়ে খাল কেটে তার উপর দিয়ে বেইলি ব্রিজ নির্মান করা হবে। শিক্ষক গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ট্রেকা ব্রিজ নির্মাণ করতে দুই-তিন বছর সময় লাগবে, এই দুই-তিন বছর ভবদহের গেট দিয়ে পানি প্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে।

ফলে ভবদহ অঞ্চলবাসির দাবি, টেকা ব্রিজ নির্মান করতে টেকা নদী না আটকিয়ে স্টিল ব্রিজ নির্মান করলে, পানি চলাচলে কোন অসুবিধা হবেনা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টেকা ব্রিজ এর ৫০মিটার উত্তরে বাঁশের বাঁধ দেয়া হয়েছে। এ বাঁধ দেয়ার কারণে কচুরিপানা এসে বাঁধের গায়ে চাপ দিচ্ছে, যেকারণে এই বাঁধে এখনই পানি প্রবাহ বাঁধা সৃষ্টি করছে। এরপর এরমধ্যে বালি ভরাট করলে পানি বন্ধ হয়ে ভবদহ অঞ্চলবাসির জন্য ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

এব্যাপারে টেকা বাজারের ব্যবসায়ী শংকর রায় বলেন, এই টেকা নদী বন্ধ করে দিলে টেকা নদীর পাড়ের বাসিন্দাসহ ভবদহ অঞ্চলবাসি এবছর বর্ষা মৌসুমে বাড়ি-ঘর ডুবে যাবে। চলিশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মশিয়ার গাজী বলেন, এখন টেকা নদী বন্ধ করে দিলে ভবদহের গেট দিয়ে যতটুকু পানি যাচ্ছিল তা আর যাবেনা। তাহলে পানির চাপে আমাদের রোপনকৃত বোরো ধান ডুবে যাবে।

এব্যাপারে মণিরামপুরের ১৫নং কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় বলেন, টেকা ব্রিজ পুন:নির্মান করতে যেয়ে টেকা নদী বন্ধ করে দিয়ে জল সরানোর জন্য ৩ফুট মত জায়গা রাখলে হবেনা।

তাহলে ভবদহ অঞ্চলবাসির জন্য জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ নেবে। তাই উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি, পর্যাপ্ত পানি সরানোর ব্যবস্থা রেখে টেকা নদীতে বাঁধ দেয়া হোক। এব্যাপারে কাজের লাইনম্যান রেজাউল ইসলাম বলেন, টেকা ব্রিজ পূন:নির্মান করতে টেকা নদীতে বাঁধ দিয়ে নদী বন্ধ করে পশ্চিম পাশ দিয়ে খাল কেটে তার উপর দিয়ে বেইলি ব্রিজ নির্মান করে দেয়া হবে।

এব্যাপারে মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, বিষয়টি আমাদের নলেজে এসেছে। ওরা যেভাবে করতে চাচ্ছে ওভাবে হবেনা। পানি প্রবাহ সচল রেখে টেকা ব্রিজ নির্মান করতে হবে। এব্যাপারে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহিদুল ইসলাম জানান, আমরা টেকা নদী বন্ধ করতে নিষেধ করেছি। কমপক্ষে ১৫ ফিট নদী ফাঁকা রেখে পানি প্রবাহ সচল রাখতে হবে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.