যমজ পাত্রপাত্রীর বিয়ে !

0

পাবনা প্রতিনিধি :পাবনার ঈশ্বরদীতে যমজ পাত্রপাত্রীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। জমজ দম্পতিদের দেখতে উৎসুক মানুষের ঢল নামে উপজেলার দড়িনাড়িচা মহল্লায়। শনিবার এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। যমজ দুই বোন সাদিয়া খানম ও নাদিয়া খানমের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে যমজ দুই ভাই সেলিম মাহমুদ ও সুলতান মাহমুদের।

সাদিয়ার সঙ্গে সেলিম আর নাদিয়ার সঙ্গে সুলতানের বিয়ে হয় ঈশ্বরদী পৌর এলাকার দড়িনারিচা এলাকায় তাঁদের নিজ বাড়িতে। এলাকার কৌতূহলী মানুষের ঢল নামে যমজ বর-কনেদের একসঙ্গে দেখতে। অনেকে বিয়ের আসরে যমজ বর ও যমজ কনের সঙ্গে সেলফিও তুলছেন। এটি এলাকায় স্মরণকালের একটি ব্যতিক্রমী বিয়ে হিসেবে, কালের সাক্ষী হয়ে থাকবেন বলে মনে করছেন অনেকেই।

জানা যায়, কনের বাড়ি ঈশ্বরদীতে শনিবার অনুষ্ঠিত হয় ‘বরযাত্রী বরণ’ ও বিয়ে নিবন্ধনের কাজ। শুক্রবার সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় দুই কনের গায়েহলুদ ও মুখ মিষ্টির আয়োজন। বিয়ে দিনগুলোকে প্রাণবন্ত করতে ওই রাতে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।

সাদিয়া ও নাদিয়া শহরের দড়িনারিচা এলাকার কুদ্দুস আলীর মেয়ে। আর সেলিম মাহমুদ ও সুলতান মাহমুদ নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার সাফাপুর ইউনিয়নের কচু পুড়ি গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে। কনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কনের বাবা কুদ্দুস আলী ও মা শিল্পী খাতুনের ইচ্ছে ছিল যমজ মেয়েদের একসঙ্গে, এক অনুষ্ঠানে বিয়ে দেবেন। কিন্তু একসঙ্গে যমজ ছেলে পেয়ে যাবেন, তেমনটাও তিনি ভাবেননি। এমন বর পাওয়ায় তাঁরা অনেক খুশি।

যমজ বর বাছাইয়ের বিষয়ে কনের বাবা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সম্প্রতি তাঁর কাপড়ের দোকানে একজন ক্রেতা আসেন। এ সময় যমজ দুই বোনকে দেখে তাঁর ভীষণ পছন্দ হয়। পরে ওই ক্রেতার মাধ্যমে যমজ পাত্রের সন্ধান পান তিনি। খোঁজখবর নিয়ে পাত্রের পরিবারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। একপর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিয়ের তারিখ ঠিক হয়।

বরের বাবা সেকেন্দার আলীর বরাত দিয়ে বর পক্ষ বলছে, বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পরপরই পরিবারের সকল সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন বরের বাবা। ছেলেদের মা সম্মতি দেওয়ায় তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য দুই ছেলেকে জানান। পরে তাঁদের সম্মতি পেয়ে বিয়ে সম্পন্নের কথা কনের বাবাকে জানিয়ে দেন। এরপর উভয় পক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে বিয়ের দিনক্ষণ ও অন্যান্য বিষয়ে নির্ধারণ করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের বিয়ে এ অঞ্চলে যেমন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। অনুরুপ বিষয়টি ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হওয়ার মতো নলে মনে করছেন।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.