বর্ষিয়ান নেতা আবুল কাশেম মাষ্টারের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠিত

0

পাবনা প্রতিনিধি : সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বর্ষিয়ান নেতা, সুজানগর উপজেলার গন মানুষের কন্ঠস্বর,প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রয়াত আবুল কাশেম মাস্টারের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে দিনভর ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল, বিভিন্ন এতিমখানার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে খাদ্য বিতরণ, তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিনামূল্যে ডায়াবেটিস ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি এবং আবুল কাশেম ও আজিরন নেছা এবতেদায়ী মাদ্রাসা ও এতিমখানা (হেফাজ খানা) উদ্বোধন ও নিজ বাসভবনে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনভর এ সকল কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করেন, মরহুম আবুল কাশেম মাস্টারের কনিষ্ঠতম পুত্র পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন। আবুল কাশেম ও আজিরন নেছা এবতেদায়ী মাদ্রাসা ও এতিমখানার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রওশন আলী, প্রগতি হেল্প ডেস্ক সুজানগরের আয়োজনে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরিক্ষা ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের উদ্বোধন করেন আবুল কাশেম মাস্টারের কনিষ্ঠতম পুত্র উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন। এছাড়াও মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও দুলাই বজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও নিজ বাসভবনে মিলাদ মাহফিলের উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রওশন আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আজম আলী বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার,মহরী বার সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব ইসমাইল হোসেন, জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম দায়েন সহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বৃন্দ, থানার কর্মকর্তা বৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান গণ সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ স্বেচ্ছাসেবক কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য আজকের এই দিনে (১ অক্টোবর-২০১৭ ইং) বর্ষিয়ান এ নেতা অসুস্থ হয়ে চিরবিদায় নেন, মরহুম আবুল কাশেম মাস্টারের প্রথমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা মাধ্যমে কর্ম জীবন অতিবাহিত হলেও রাজনৈতিক কারণে শেষ পর্যন্ত চাকরি করা হয়নি। তিনি ১৯৬৩-১৯৭৩ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন,তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে প্রথমবার তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন, দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে তাকে, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন, এরপর তিনি ১৯৭৪-২০০৪ সাল পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন,২০০৪ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি দলের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি সুজানগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সুজানগর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেও ছিলেন শিক্ষানুরাগী একারণেই তিনি রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.